পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : স্মার্টফোন ছাড়া যেন আমাদের জীবন অচল। এক মুহুর্ত এই যন্ত্র ছাড়া কেও টিকতে পারে না। স্মার্টফোনের ব্যবহার আপনার জীবন যেমন সহজ করে তেমনি করেছে জটিল। এমনকি আপনার স্বাস্থ্য নষ্ট করতে দিতে পারে। আজকে আমরা দেখবো এমনই বিষয় যার মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে স্মার্টফোন।
জীবাণু : আপনার সঙ্গে স্মার্টফোন সবখানেই যাতায়াত করে। এমনকি ওয়াশরুমেও। বাইরের ধুলো, ওয়াশরুমের জীবানু সবই তো আছে। কিন্তু মনে করে দেখুন শেষ কবে আপনি আপনার স্মার্টফোনটি পরিষ্কার করেছিলেন। ডিভাইসতিতে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার কারণে আপনার প্রতিনিয়ত ক্ষতি হচ্ছে আপনি হয়তো টেরও পাচ্ছেন না। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ৬ স্মার্টফোনের একটিতে ই.কোলি ব্যাকটেরিয়া থাকে।
ঘাড়ের সমস্যা : বেশি সময় ধরে স্মার্টফোনে বুদ হয়ে থাকলে ঘাড়ের সমস্যার ঝুকি থাকে। অনেকেই ইতোমধ্যে এই সমস্যায় পড়েছেন। চেষ্টা করবেন প্রতি ২০ মিনিট পর পর নড়াচড়া করার। বিশেষ করে সামনে ঝুকে স্মার্টফোনের ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
অসময়ে ফোন : অনেকেই অন্য কাজের ফাকে মোবাইলে কথা বলেন। সেক্ষেত্রে ঘাড়ের সঙ্গে ঠেক দিয়ে অনেকে কথা বলেন। প্রতিনিয়ত এই অভ্যাস হলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই চেষ্টা করুন অন্য কাজের সময় মোবাইল কল না ধরার। আর না হয় কাজ বন্ধ রেখে মোবাইলে কথা বলুন। যাতে করে ঘাড়ের কোনো সমস্যায় না পরেন।
গাড়ি চালানোর সময় বার্তা পাঠানো : গাড়ি চালানোর সময় সবচেয়ে বেশি মনযোগের প্রয়োজন হয়। তাই গাড়ি চালানোর সময় স্মার্টফোনে কোনো খুদে বার্তা পাঠানো বা পড়ার চেষ্টা করবেন না। গবেষকদের মতে, এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা ২৩ গুণ বেড়ে যায়।
গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা : দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এটি। তাই অনেক দেশেই গাড়ি চালানোর সমইয় মোবাইলে কথা বলা আইনত দণ্ডনীয়। আপনিও এই অপরাধ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। একান্ত গুরুত্বপূর্ণ কল হলে গাড়িয়ে থামিয়ে কথা বলুন।
রাত জেগে স্মার্টফোনের ব্যবহার : স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে অনেকেই রাতে দেরি করে ঘুমান। ধীরে ধীরে দৈনন্দিন জীবনের অভ্যাস হয়ে ওঠে। কিন্তু এই অভ্যাস সে স্বাস্থ্যের জন্য কতো মারাত্মক তা অনেকেই আন্দাজ করেন না। রাত জেগে স্মার্টফোনের ব্যবহার ডায়বেটিস, অবস্বাদ, হৃদরোগ ও অন্যান্য অনেক রোগের সৃষ্টি করে। তাছাড়া ঘুম কম হলে দেহে অনেক সমস্যাই দেখা দেয়। তাই রাতে স্মার্টফোনে সময় না কাটিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিন।
হাঁটা এবং কথা বলা : রাস্তায় হাঁটা অবস্থায় ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে ব্যস্ত রাস্তায়। মোবাইলে কথা বলার সময় রাস্তায় হাঁটলে মনযোগ রাখা যায় না। তাই দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি : স্মার্টফোন থেকে আসা রশ্মির কারণে মানবদেহের ক্ষতি হয় এটা সত্যি। তবে এর কারণে দেহে ক্যান্সারের কোষ সৃষ্টি হয় কি না তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি গবেষকরা। তবে বিষয়ে তাদের গবেষণা অব্যাহত আছে।
আঙ্গুল শক্ত হয়ে যাওয়া : প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনের ব্যবহারে হাতের আঙ্গুল শক্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই বেশি সময় স্মার্টফোনের ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।
আঙ্গুলে ব্যথা : বেশি নড়াচড়া বা পরিশ্রম গেলে আমাদের দেহের মাংসপেশি ব্যথা হয়ে যায়। আমাদের হাতের আঙ্গুলেও পেশি আছে। অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যবহারে হাতের আঙ্গুলের পেশি ব্যথা হয়ে যায়।
চোখের সমস্যা : বেশি সময় ধরে ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের সমস্যা হওয়া অতি স্বাভাবিক বিষয়। অতিরিক্ত ফোনের ব্যবহারে চোখের কর্ণিয়ার তীব্র ক্ষতি হয়। তাই সচেতন হয়েই স্মার্টফোনের ব্যবহার করুন।