পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জেলখানায় থাকা কয়েদিদের ৬০ শতাংশের কাছাকাছি মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী। সাক্ষী প্রমাণের অভাবে মাদক ব্যবসায়ীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। ছাড়া পেয়ে আরো বেশি করে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।
আজ শনিবার (৮জুলাই) সকালে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের আলমপুরে আন্তর্জাতিকমানের স্পেশালাইজড মাদকাসক্তি ও মানসিক হাসপাতাল ‘আহ্ছানিয়া হেনাআহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্র’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন ‘আমরা যদি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই, তাহলে যুব সমাজকে এই মরণ নেশা থেকে বাঁচাতে হবে। সেজন্য জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা চাই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরেছি। প্রাথমিকভাবে ইউরোপের খুব ভয়ংকর অবস্থা ছিল। কিন্তু তারাও আজ ভালো অবস্থানে চলে এসেছে। আমি জানি বাংলাদেশ এখনো সেই পর্যায়ে যায়নি। আমাদের ৭০-৮০ লাখ মানুষ হয়ত মাদকদ্রব্য ব্যবহার করেছে। সে তুলনায় হাসপাতাল (মাদক নিরাময় কেন্দ্র) খুবই অপ্রতুল। তবু আমরা শুরু করেছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। মিয়ানমার সীমান্ত সুরক্ষিত করতে কাজ অব্যাহত রয়েছে। বিজিবিকে শক্তিশালী করা হয়েছে। সীমান্তে যোগাযোগের জন্য হেলিকপ্টার কেনা হয়েছে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সিগঞ্জ কাজী নাহিদ রসুল এবং পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল-মামুন, বিপিএম, পিপিএম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের আবাসিক মনোচিকিৎসক ড. মো. রাহেনুল ইসলাম, হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন মো: সুলাইমান খান, শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যন মো. মশিউর রহমান মামুন, আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের ইয়ানা জামান ও অভিভাবক রেবেকা জামান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।