১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২০শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : প্রতি বছরই হজ পালনেচ্ছুদের ভিড় থাকলেও সবাইকে হজে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না। বরং তাদেরকে পরবর্তী বছরের জন্য নিবন্ধনের কথা বলা হতো। কিন্তু এবার সময় কেমন যেন উল্টে গেছে। আট দফা সময় বাড়িয়েও হজযাত্রীদের নির্ধারিত কোটা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তাই কোটা খালি রেখেই বুধবার চলতি বছরের হজ নিবন্ধনের সময় শেষ হলো।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) পক্ষ থেকে বলা হয়, সৌদি আরবের সঙ্গে করা হজচুক্তি অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন। তবে আট দফা সময় বাড়ানোর পরও চুক্তির কোটা পুরো করা সম্ভব হয়নি।
হাব থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যমতে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। সৌদির সাথে চুক্তি থেকে প্রাপ্ত আরও ৭ হাজার ৫০৩ জনের কোটা বাকি রয়ে গেছে।
মূলত দুটি কারণে এবারের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমত করোনার পরপরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয়ত এই যুদ্ধের জেরেই বেড়ে গেছে হজের খরচ। বিশেষ করে ডলারের তুলনায় টাকার মানের অবনমনের কারণে এক ধাক্কায় খরচ অনেকখানি বৃদ্ধি পায়। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে হজ করার সেই আগ্রহে ভাটা পড়েছে। আটবার সময় বাড়ানোর কারণে অনেকটাই কোটা পূরণ করা গেছে। কিন্তু প্রাক-নিবন্ধন করা কিছু মানুষ একেবারেই অপারগ হয়ে পড়ায় শেষ পর্যন্ত কোটা খালি থেকে যায়।
এদিকে কোটা খালি থাকায় আগামীতে কোটা পেতে সমস্যা হবে- এমন শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, আশা করি, আগামী বছরে হজের কোটা পেতে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এবার অনেক দেশেরই হজের কোটা খালি থাকবে।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছরের হজ নিবন্ধন শুরু হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। নিবন্ধনের শেষ সময় বেঁধে দেওয়া হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু হজের জন্য নিবন্ধন করেন খুব কম সংখ্যক মানুষ। পরে একের পর এক আট দফা সময় বৃদ্ধি করা হয়। এ কৌশলে হজ নিবন্ধনের সংখ্যা অনেক বাড়লেও শেষ পর্যন্ত কোটার কিছু খালি থেকেই যায়।