হরতালের দুইদিনে ১৯টি যানবাহনে আগুন

হরতালের দুইদিনে ১৯টি যানবাহনে আগুন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপির হরতাল চলাকালে দুই দিনে ১৭টি স্থানে আগুন লাগার খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এসব ঘটনায় ১৯টি যানবাহন পুড়ে গেছে। আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে রাজশাহী বিভাগে। সোমবার (২০ নভেম্বর) ফায়ার সার্ভিস মিডিয়াসেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, রোববার ও সোমবার (১৯-২০ নভেম্বর) হরতালের ২ দিন সন্ধ্যা সোমবার ৬টা পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা ঢাকা সিটিতে ৪টি, ঢাকা বিভাগ ১টি, রাজশাহী বিভাগে (নাটোর,বগুড়া,সিরাজগঞ্জ) ৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে (ফেনী, মিরসরাই, সাতকানিয়া) ৪টি, ময়মনসিংহ বিভাগে (জামালপুর) ১টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ১০টি বাস, ১টি কাভার্ড ভ্যান, ৬টি ট্রাক, ১টি সিএনজি, ১টি ট্রেন (৩ বগি) পুড়ে যায়। এই আগুন নির্বাপণ করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ৩১ ইউনিট ও ১৫৬ জন জনবল কাজ করে।

কোন সময়ে ও কোথায় আগুন লাগে;-

১৯ নভেম্বর রাত ১.২০-সরিষাবাড়িতে ট্রেনে আগুন (তিনটি বগি) লাগে। ১.৩০-বগুড়াতে ট্রাকে আগুন লাগে। ১.৪০-ফেনীর লালপুরে ১টি কাভার্ড ভ্যানে আগুন লাগে। ৩.২০-নাটোরের ভবানীগঞ্জে বাসে আগুন লাগে। ৮.৩০- কাজী আলাউদ্দিন রোডের বঙ্গবাজারের কাছে সিএনজি ককটেল বিস্ফোরণে আগুন লাগে। ১৭.৩৫- রাজশাহীর গোদাগাড়িতে ১টি বাসে আগুন লাগে। ১৯.১৫-বগুড়ার নন্দীগ্রামে ১টি ট্রাকে আগুন লাগে। ২০.১০- ফেনীর মহিপালে ১টি বাসে আগুন লাগে। ২০.২৫- ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের সামনে ১টি বাসে আগুন লাগে। ২১.৫২-রাজশাহীর পুঠিয়াতে ১টি বাসে আগুন লাগে। ২১.৫৮-যাত্রবাড়ী থানার সামনে ১টি বাসে আগুন লাগে। ২২.২৫-বগুড়ার নন্দীগ্রামে ১টি ট্রাকে আগুন লাগে।২২.৫৮-টঙ্গী মিরের বাজারে ১টি ট্রাকে আগুন লাগে।

২০ নভেম্বর রাত ১২.৪২- সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১টি ট্রাকে আগুন লাগে। ৪.০৫-চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ৩টি বাসে আগুন লাগে। ৪.৪৫-চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ১টি ট্রাকে আগুন লাগে। ১৪.৩৫-ঢাকার মিরপুর ১০ নাম্বারে বিআরটিসি ১টি বাসে আগুন লাগে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল প্রত্যাখ্যান করে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেন।

হরতালে যে কোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানীসহ দেশজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অব্যাহত আছে মামলা ও গ্রেপ্তার। কোথাও কোথাও পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি এবং স্বজনকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দলটির বহু নেতাকর্মী। এর মধ্যেই নানা জায়গায় চলছে বাস, ট্রাক, ট্রেনে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা।

উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক ১৯৫টি আগুন লাগার (যানবাহন ও স্থাপনাসহ) সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *