২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৩০শে শাবান, ১৪৪৪ হিজরি

হাদীসে যে ৩ ঔষধি খাবারের কথা উল্লেখ রয়েছে

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : হাদীস গ্রন্থকে কোরআনের ব্যাখ্যা বলা হয়। রাসুল (স.) যা বলে গেছেন তার সবই হাদীস, যা করেছেন তার সবই সুন্নাহ। খাবার বা পানীয় নিয়ে খুব বেশি আলোচনা আসেনি হাদীস গ্রন্থে। যা এসেছে তার মধ্যে তিনটি খাবারের কথা রয়েছে, যেগুলো বিশেষ ঔষধি গুণসম্পন্ন।

আজওয়া খেজুর

এরমধ্যে প্রথমেই রয়েছে মদিনার উৎকৃষ্টতম খেজুর আজওয়া। হাদীস গ্রন্থ বোখারিতে উল্লেখ রয়েছে, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ কিংবা জাদু তার ক্ষতি করতে পারবে না। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যও এটি মহা-উপকারী ওষুধ।

রাসুলের সাহাবি হযরত সাদ (র.) বলেন, একবার আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসুলুল্লাহ (স.) আমাকে দেখতে আসেন। তিনি আমাকে দেখে বলেন, তুমি হৃদরোগে আক্রান্ত। কাজেই তুমি সাকিফ গোত্রের হারিসা ইবনে কালদার কাছে যাও। সে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। সে যেন সাতটি আজওয়া খেজুর বিচিসহ চূর্ণ করে তোমার জন্য তা দিয়ে সাতটি বড়ি তৈরি করে দেয়।

কালোজিরা ও জয়তুন

আরেকটি হাদীস গ্রন্থ মুসলিমে উল্লেখ রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, কালোজিরায় মৃত্যু ছাড়া সব ধরনের রোগের উপশম আছে। বর্তমান যুগেও আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও কবিরাজি চিকিৎসায় এর ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে।

কোরআনে যেসব ফলের কথা উল্লেখ রয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে জলপাই বা জয়তুন। সূরা ত্বিনে আল্লাহ এই ফলের কসম খেয়েছেন। রাসুলুল্লাহরও (স.) পছন্দের ফল ছিল এটি।

হাদীস গ্রন্থ তিরমিজিতে উল্লেখ রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা জয়তুনের তেল খাও এবং তা শরীরে মালিশ করো। কেননা এটি খুবই বরকত ও প্রাচুর্যময় গাছের তেল। আগের নবীরাও এই বরকতময় গাছের ফল ও তেল ব্যবহার করতেন। আবার মিসওয়াক হিসেবেও এই গাছের ডাল ব্যবহার করা হয়।

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২২ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com