হুন্ডির মাধ্যমে এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার

হুন্ডির মাধ্যমে এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দেশে মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় পাঁচ হাজার অবৈধ এজেন্ট রয়েছে। এই এজেন্টরা হুন্ডির মাধ্যমে গত এক বছরে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন।

ফলে গত চার মাসে বাংলাদেশ প্রায় ৭.৮ বিলিয়ন ডলারের (২৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ) রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মাদ আলী এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

এর আগে বুধবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ হুন্ডি চক্রের ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির ফিন্যানশিয়াল ক্রাইম ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আক্তার হোসেন (৪০), দিদারুল আলম সুমন (৩৪), খোরশেদ আলম ইমন (২২), রুমন কান্তি দাস জয় (৩৪), রাশেদ মনজুর ফিরোজ(৪৫), মো. হোসাইনুল কবির (৩৫), নবীন উল্লাহ (৩৭), মো. জুনাইদুল হক (৩০), আদিবুর রহমান (২৫), আসিফ নেওয়াজ (২৭), ফরহাদ হোসাইন (২৫), আবদুল বাছির (২৭), মাহবুবুর রহমান সেলিম (৫০), আব্দুল আউয়াল সোহাগ (৩৬), ফজলে রাব্বি (২৭) ও শামীমা আক্তার (৩২)

যেভাবে টাকা পাচার হচ্ছে

সিআইডি প্রধান বলেছেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অবৈধ এজেন্টরা তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে অবৈধ হুন্ডি করে থাকে। বিদেশে তাদের একটি চক্র প্রবাসীদের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে। সেই চক্রের বাংলাদেশি এজেন্টরা টাকা পাচারকারীদের কাছ থেকে সমপরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে প্রবাসীদের স্বজনদের পরিশোধ করে। পরে টাকা পাচারকারী বিদেশের এজেন্টের কাছ থেকে টাকা সেই দেশ থেকে নিয়ে নেয়। এভাবে কোটি কোটি টাকা দেশ থেকে কালোটাকার মালিকরা পাচার করছে। অপরদিকে বাংলাদেশ রেমিটেন্স হারাচ্ছে।

সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী বলেন, “দেশে হঠাৎ ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা এই চক্রের সন্ধান পাই। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয় ডলার হয়ে দেশে আসে না। একটি চক্র তা পাচার করে দিচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

এই হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *