পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : হৃদয়ঘটিত জটিলতা তখনই বাড়ে যখন রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তৈরি হয়। কোভিডে আক্রান্ত হলে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এর ফলে মৃত্যুও হতে পারে। অন্য সবার তুলনায় হৃদরোগীদের ঝুঁকি বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার।
বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হৃদরোগ। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগে মারা যাওয়া প্রথম রোগীরও হৃদরোগ ছিল। করোনাকালে অনেক কোভিড-১৯ রোগী যারা হার্টের রক্তনালিতে ব্লকজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন, তাদের পরিণতি খারাপ হয়েছে। তাই সচেতন থাকতে হবে।
মানসিক চাপ, স্ট্রেস, টেনশন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, ভুল খাদ্যাভ্যাস—এ সবগুলো দায়ী হৃদরোগের জন্য। করোনার ছোবলের পর নতুন করেও অনেকে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের দাবি, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সুনির্দিষ্ট জীবনধারার পাশাপাশি শরীরচর্চার সমান গুরুত্ব রয়েছে হৃদরোগে ঝুঁকি কমাতে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের আশঙ্কা কমতে পারে। শরীরচর্চা শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণেই শুধু রাখবে না, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার সমাধানও করবে। কাজের চাপে অনেকেই জিমে যাওয়ার বা সকাল-বিকাল নির্দিষ্ট সময় শরীরচর্চা করতে পারেন না। তাদের জন্য সহজ সমাধান হলো—
১. নিয়মিত ৪০ মিনিট হাঁটুন। অফিসে যাওয়ার পথে কিংবা ফেরার পথে। যদি সকালে অল্প সময়ও পান তাহলে মর্নিংওয়াক করবেন। বাড়িতে ট্রেডমিল মেশিন থাকলে সেটিও ব্যবহার করতে পারেন।
২. হাঁটার পাশাপাশি দৌড়ানোর অভ্যাসও করুন। হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যায়াম অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে।
৩. সাইকেল বা সুইমিং করতে পারেন। সামনেই গরমকাল। বাড়ির কাছে সুইমিংপুল থাকলে, বিকেলের দিকে সুইমিং করলেও উপকার পাবেন।
৪. যোগাসন করতে পারেন। এর সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো হৃৎপিণ্ডকে চাপমুক্ত রাখে। ফলে শরীর ও মন সতেজ থাকে। মানসিক অবসাদ কর্টিসল ও অ্যাড্রেনারিন হরমোন নিঃসরণকে প্রভাবিত করে আমাদের শিরাকে সংকুচিত করে রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। কর্টিসল শরীরের ওজন হ্রাসে বাধা সৃষ্টি করে, কোলেস্টেরল, রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে, রক্তচাপ বাড়ায়। এর থেকেই হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক হয়।