হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী সিঁড়ি ব্যবহার

হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী সিঁড়ি ব্যবহার

পাথেয় টুয়েন্টিফোর ডটকম: সিঁড়ি বেয়ে উঠা শরীরকে ফিট রাখার জন্য সবচেয়ে সহজ, সুবিধাজনক এবং কার্যকর উপায়গুলির মধ্যে একটি। এই অভ্যাস হৃৎপিণ্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর একটি ব্যায়াম কারণ এটি শুধুমাত্র কার্ডিওরেসপিরেটরি ফিটনেসের উন্নতি করে না, হৃদরোগজনিত কোনো জটিলতা আছে কিনা তাও নির্দেশ করতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা সমতলে হাঁটার চেয়েও উপকারী।

মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্স ইন স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজের জার্নাল অনুসারে, সপ্তাহে মাত্র আধা ঘণ্টা সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করলে তা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ব্যক্তি ১ মিনিটেরও কম সময়ে পরপর চার ধাপ সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারেন তাদের কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো থাকে। অন্যদিকে, কারও যদি সিঁড়ির চার ধাপ উঠতে ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগে তাহলে এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগ নির্দেশ করতে পারে।

লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখার একটি সহজ কিন্তু কার্যকর উপায়। ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জয়তি রাখিতের মতে, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা কার্ডিওভাসকুলার সুস্থতার উপর পাঁচ উপায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন-

১. সিঁড়ি বেয়ে ওঠা একটি কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম যা পা এবং কোরসহ একাধিক পেশিকে সংযুক্ত করে। নিয়মিত সিঁড়ি বেয়ে ওঠা হৃৎস্পন্দন বাড়ায়, কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস ধরে রাখে। সময়ের সাথে সাথে, এটি হৃৎপিণ্ডকে আরও শক্তিশালী করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

২, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা ক্যালরি পোড়াতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমায়। এসবই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩. সিঁড়ি বেয়ে ওঠা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সাথে সাথে হৃৎপিণ্ড আরও রক্ত পাম্প করে। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন পেশি এবং অঙ্গে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ সহজ হয়। এই উন্নত রক্ত সঞ্চালনের ফলে রক্ত ​​জমাট বাঁধা এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে। এসবই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

৪. নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, যেমন সিঁড়ি ওঠা-নামা রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। উচ্চ মাত্রার এইচডিএল কোলেস্টেরল আপনার ধমনীতে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল কমাতে পারে। ফলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।

৫. সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা স্ট্রেস হরমোন কমাতে ভূমিকা রাখে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *