১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, দিক বদলেছে আম্ফান
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গতিপথ বদলেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সুন্দরবনের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে আম্ফানের। ধীরগতি থাকার পর উপকূলের কাছাকাছি আসতে আসতে কিছুটা দিক পরিবর্তন করেছে সুপার সাইক্লোন ‘ আম্ফান’। তাই শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা দিক পরিবর্তন পরিবর্তন করলেও এর আঘাত বাংলাদেশের খুলনাসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একই সঙ্গে পড়তে পারে। বুধবার সকাল থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের পরিবর্তে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে হবে। এই দুটি বন্দরের আশপাশের অঞ্চলও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এর আগে সোমবার থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস থেকে জানা যায়, সুপার সাইক্লোন আম্পান কাল ২০ মে বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের মঙ্গলবার রাত নয়টায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার নয়টায় আম্ফান পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। একই সময় মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৪০ ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল আম্ফান।
সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আম্ফানের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ৫ থেকে ১০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১৪০ থেকে ১৬০ মিটার বেগে ঝড়ো বাতাসসহ অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা নৌযানগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।