১৫ দিনের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সফরে রওনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

১৫ দিনের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সফরে রওনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইট টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা, তিন বাহিনীর প্রধান, আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাপানের স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে জাপান সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং টোকিওতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সফরকালীন আবাসস্থলে যাবেন তিনি।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই সরকারি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন যাবেন। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টারে রাজা তৃতীয় চার্লস ও কুইন কনসর্ট ক্যামিলার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৬ এপ্রিল দুপুরে জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এদিন বিকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবেন শেখ হাসিনা। পরে সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিডার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। শীর্ষ পর্যায়ের এই বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর বাংলাদেশ-জাপানের প্রতিরক্ষাসহ ৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

সফরকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট, জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটি আয়োজিত সংবর্ধনাসহ অনেকগুলো কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

ভারত ও চীনের পর জাপানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল টোকিও সফরের সময়ে যৌথ বিবৃতিতে এই ঘোষণা আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করার সুযোগ তৈরি হবে। চীন, ভারত ও পশ্চিমা বিশ্বের মাঝে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার ক্ষেত্রেও এটি সহায়ক হবে।

অপরদিকে টোকিও ও বেইজিংয়ের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক না থাকলেও চীনের প্রভাব বলয়ের সঙ্গে যুক্ত নয় জাপান। এর ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে এ সম্পর্ক ভারসাম্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

১৫ দিনের সরকারি এই সফর শেষে আগামী ৯ মে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *