১৯শে মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা জানিয়েছেন আগামী ৭ এপ্রিল প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন শুরু হবে। সে হিসাবে আগামী ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। সিইসি বলেন, ‘আগামী মে মাসের মাঝামাঝি দেশজুড়ে বড় পরিসরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট শুরু হবে। এপ্রিলের ৭ তারিখে আরেকটি পৌরসভা নির্বাচন, একইসঙ্গে কিছু ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হবে। তবে রমজান এবং মার্চ মাসে কোনো নির্বাচন হবে না।’
সিইসি বলেন, ‘মার্চের একমাস আমাদের ছুটিতে যেতে হবে। কারণ আমাদের ভোটার লিস্ট তৈরি করা, সেটা চূড়ান্ত করা, তালিকার সিডি করে প্রার্থীদের দিতে হবে। এসব কাজে সময় চলে যাবে। ডিজিটাল যুগের ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে আমাদের অনেক দূরে নিয়ে গেছে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন সিডি ছিলো না, ফলে ভুয়া ভোট হয়ে যেতো। তাই সিডির কাজের জন্য মার্চে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এপ্রিলে একটা নির্বাচন করব, তারপর রমজানের ঈদের পর বাকি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শুরু হবে।’
সিইসি বলেন, ‘কোথাও কোথাও ভোটে সংঘাত হয়। এগুলো চলে গেলে খুশি হবো, কিন্তু যাচ্ছে না। আজও আমরা চট্টগ্রাম, যশোরে কথা বলেছি। ১৪ তারিখ ভালোবাসা দিবসের নির্বাচনকেও ভালোবেসে ফেললাম। আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনার দিক দিয়ে যা যা দরকার আমরা সব ঠিকঠিকভাবে দেখেছি। আমি আশা করি এরপর থেকে যে নির্বাচন হবে ভালো হবে, সুষ্ঠু হবে; সংঘাত-সংঘর্ষ হবে না।’
বিগত নির্বাচনগুলোতে রক্তপাত, সহিংসতা কেন ঠিক করা গেলো না। আগামীতে কিভাবে সামাল দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যেগুলো হয়েছে আমাদের কাম্য নয়। এগুলো তো প্রার্থী, প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে ঘটে। আমাদের তো পুলিশ থাকে, কিন্তু একটা ঘটনা ঘটে গেলে তো কিছু করার থাকে না। প্রার্থী ও প্রার্থীদের সমর্থকদের সহনশীল থাকতে হবে, আর আমাদের প্রচেষ্টা তো আছেই।’
আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর জন্য কোনো বার্তা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘আমরা তাদের অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় রাখি। প্রত্যেকটি জায়গায় র্যাবের সদস্য, বিজিবি, আনসার আছে। প্রত্যেকটা কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৮ জন আর্মড পুলিশ এবং আনসার নিয়োজিত থাকবে। তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনাররা কথা বলেছেন। তারা আরও সুষ্ঠুভাবে তদারকি করবে। আগামী ১৪ তারিখ যে নির্বাচন আছে সেগুলো তারা মনিটর করবে। কোনো জায়গায় খারাপ খবর পেলে কমিশনাররা কথা বলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।’