পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ভারতের রাজস্থান প্রদেশে গত প্রায় এক মাসে ৭৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থানের কোটা এলাকা জে কে লোন হাসপাতালে ২৪ দিনে এসব শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ৪৮ ঘণ্টায় মারা গেছে ১০ শিশু। কর্তব্যে অবহেলা এবং অযত্নের কারণেই এসব শিশুরা মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইতোমধ্যে শিশুমৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে ওই হাসপাতালের তরফ থেকে দায়িত্বে অবহেলা ও শিশুদের অযত্নের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের পরিকাঠামোগত কোনো ত্রুটি ছিল না। তাহলে এতো শিশুর মৃত্যু কীভাবে হলো? এ বিষয়ে তারা বলছে, গত বেশ কিছুদিন ধরে আশঙ্কজনক অবস্থায় ভেন্টিলেটরে ছিল ১০ শিশু। এসব শিশুর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটনায় তাদের বাঁচানো যায়নি।
গত ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে হাসপাতালে যে ৫ সদ্যজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে তার কারণ স্বরূপ হাসপাতালের তদন্ত কমিটি জানিয়ছে, ওই পাঁচ শিশু জন্মর পর থেকেই মস্তিষ্কের বিশেষ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এর ফলে তাদের মস্তিষ্কে সঠিকভাবে রক্ত পৌঁছাতে বাধা পাচ্ছিল এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা তৈরি হয়েছে। সে কারণেই এসব শিশু মারা যায়।
একইসঙ্গে অন্য যেসব শিশু মারা গেছে তাদের মৃত্যুর কারণ তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও মৃত শিশুদের পরিবারের লোকেরা হাসপাতালের যুক্তি মানতে নারাজ। প্রতিদিন বুন্দি, বারান, ঝালওয়াড় এমনকি মধ্যপ্রদেশ থেকেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় এই হাসাপতালে আসে বহু শিশু। এর মধ্যে প্রতি তিনজন সদ্যজাত শিশুর মধ্যে একজন মারা গেছে।