২৮শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৫ই রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে পায়রা বন্দর ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল ও ৮টি জলযান উদ্বোধন করেছেন। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে পায়রা বন্দর ব্যবহার করা যাবে।”
রবিবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে দৈনিক ইত্তেফাক আয়োজিত “বাংলাদেশের শিপিং খাত-বাস্তবতা ও করনীয়” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “আন্ধারমানিক নদীর ওপরে ৬০০-৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক চার লেনের সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে।”
আরও পড়ুন- ‘পায়রা সমুদ্রবন্দরে রিজার্ভের টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে ব্যাখ্যা করুন’
ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকার পদক্ষেপ নেবে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “আমাদের কিছু সমস্যা রয়েছে, সরকারও সে কথা বলছে। আমরা চাই চট্টগ্রাম বন্দর, পায়রা বন্দর ও মংলা বন্দর দিয়ে পণ্যগুলো আসুক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নৌপথের কার্যকরী ব্যবহারে সমস্যাগুলো অনেকাংশেই কমে যাবে। মুক্তারপুর, কুমুদিনীতে টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। খানপুরে টার্মিনাল তৈরির বিষয়ে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটেও একটা টার্মিনাল তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
তিনি বলেন, “ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ফান্ডে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পোর্টগুলোতে যেন ২০০ থেকে ৩০০ জাহাজ আসতে পারে সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সর্বোপরি নৌপথকে কার্যকরীভাবে ব্যবহার করা হলে সমস্যাগুলো অনেকাংশেই কমে যাবে।”
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ।