১১ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২১শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে এবার ২০ লাখের বেশি হাজির উপস্থিতির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কা।
চলতি সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ হজ মৌসুমের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সম্পন্ন করে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।
মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতানের সভাপতিত্বে হজ বিষয়ক কমিটি হজযাত্রীদের জন্য পবিত্র স্থানগুলোতে স্থাপন করা সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে পর্যালোচনা করে। এতে জানানো হয়, এ পর্যন্ত হজযাত্রীদের চার হাজারের বেশি হাউজিং পারমিট ইস্যু করা হয়েছে এবং ১৯ হাজারের বেশি বেশি বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পর্যালোচনা বৈঠকে আগত হাজিদের কোভিডসহ বিভিন্ন টিকা প্রদানের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়। গত মাসে দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, হজ মৌসুম শুরু হওয়ার ১০ দিন আগে কোভিডের টিকা দিতে হবে।
হজ পারমিট পাওয়ার জন্য হজযাত্রীদের অবশ্যই কোভিড ভ্যাকসিনের তিনটি টিকাই দিতে হবে। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের জন্য সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং মেনিনোকোকাল মেনিনজাইটিসের টিকাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সৌদি আরবের বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিদের জন্য হলুদ জ্বর, পোলিওসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ টিকাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি সৌদি আরব ঘোষণা করে, কোভিড মহামারির জন্য তিন বছরের নিষেধাজ্ঞার পর তারা এই বছরের হজের ক্ষেত্রে হজযাত্রীদের সংখ্যার ওপর আর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করবে না। তবে যারা আগে হজ করেননি তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সৌদি আরব আশা করছে, এ বছর বিশ লাখের বেশি হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনে মক্কা-মদিনায় উপস্থিত হবেন। মহামারির নিষেধাজ্ঞার আরোপের আগে ২০১৯ সালে ২৫ লাখ মুসলমান হজ করেছিলেন। করোনা শুরু হয়ে গেলে ২০২০ মাত্র ১০ হাজার ব্যক্তি হজ পালন করে। পরের বছর ২০২১ সালে তা ৬০ হাজারে উন্নীত হয়। ২০২২ সালে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হলে ১০ লাখ মুসল্লি হজ করেছিলেন। এবার দেশটির কর্তৃপক্ষ ২০ লাখ মানুষ হজ করবে বলে আশা করছে।
চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে আগামী ২৬ জুন হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।