২১টি ‘বিশেষ’ অঙ্গীকার নিয়ে আওয়ামী লীগের ইশতেহার মঙ্গলবার

২১টি ‘বিশেষ’ অঙ্গীকার নিয়ে আওয়ামী লীগের ইশতেহার মঙ্গলবার

পাথেয় রিপোর্ট : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২১টি ‘বিশেষ’ অঙ্গীকার নিয়ে আসছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) ঘোষিত ইশতেহারে তাদের এসব অঙ্গীকার তুলে ধরা হবে। দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে সকাল ১০টায় ইশতেহার তুলে ধরবেন।

জানা গেছে, এই ইশতেহারের নাম দেয়া হয়েছে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ।’ এখানে যে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে। এসব অঙ্গীকারের মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য বিষয় রয়েছে। এগুলো হলো: ১. আমার গ্রাম-আমার শহর-শিরোনামে অঙ্গীকারে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার রূপরেখা তুলে ধরা হবে। ২. তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি এই শিরোনামে করা অঙ্গীকারে তরুণ ও যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর এবং কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে।

এদিকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এযাবৎ হওয়া ১০টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে আটটিতে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয় দলটি। শেষের তিনটিতেই দলের নেতৃত্ব দেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ প্রকাশিতব্য ইশতেহারে বিভিন্ন মেয়াদে সরকারে থাকার সময়কার অর্জনগুলো তুলে ধরা হবে। এর পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের সময়কার নানা নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হবে। আওয়ামী লীগের সূত্র জানায়, এবারের ইশতেহারের মূল বিষয় তারুণ্য এবং গ্রামের উন্নয়ন।

এছাড়া আরো যেসব অঙ্গীকার করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ; নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশুকল্যাণ; পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা; সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল; মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত ও মানসম্মতভাবে বাস্তবায়ন; গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা; সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি; দারিদ্র্য নির্মূল; সব স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি; নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা; সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি; সর্বস্তরের মানুষের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা; নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা; প্রবীণ কল্যাণ কর্মসূচি প্রভৃতি।

সরকারের শেষ মেয়াদে চলতি বছর মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছিল। এবারের ইশতেহারে এ নিয়ে অঙ্গীকার করেছে দলটি। সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের পাশাপাশি মাদক নির্মূল করার অঙ্গীকার আছে তাদের।

এই সরকার পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেলসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব মেগা প্রকল্পের দ্রুত ও মানসম্মত বাস্তবায়ন করতে চায় আগামী পাঁচ বছরে। পাশাপাশি অঙ্গীকারে থাকছে দক্ষ ও সেবামুখী জনপ্রশাসন, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার কথা।

গত ১০ বছরে দুই দফায় মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমাসংক্রান্ত দুটি আন্তর্জাতিক সালিসিতে সাফল্য অর্জন করে সরকার। ব্লু-ইকোনমি এবং সমুদ্র উন্নয়ন থাকছে আগামীর অঙ্গীকার।

এ ছাড়া প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের কল্যাণ অন্যতম অঙ্গীকার। ২১টি বিশেষ অঙ্গীকারের শেষটি হলো টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন আর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন।

সূত্র জানায়, ইশতেহারের শুরুতে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলের অর্জন তুলে ধরা হয়েছে। এটাকে ‘গৌরবোজ্জ্বল পাঁচ বছর’ এবং স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণের সুবর্ণ সময় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পাঁচ বছরের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *