২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা : শিক্ষামন্ত্রী

২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা : শিক্ষামন্ত্রী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি।

যেসব শিক্ষার্থী করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তারা সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। বাকিদের অনলাইন ও টিভিতে ক্লাস করতে হবে।

করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এক মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের এক কোটি ২৮ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে এক কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রথম ডোজ পাওয়া শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনা হবে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে পাঠদান পরিচালনা করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, যেহেতু করোনার কারণে গত এক মাস বন্ধ ছিল তাই যেখানে শেষ সেখান থেকে শুরু করা হবে। বর্তমানে আগের চেয়ে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করা হবে।

দীপু মনি বলেন, বর্তমানে ১২ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও কাজ করছে। তারা অনুমোদন দিলে আমরাও এসব শিশুকে টিকার আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করবো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দিকী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব (চলতি দায়িত্ব) তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এরপর ২১ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ নতুন করে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তাতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে আরও দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *