পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইসলামী বিশ্ব একটি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান পেতে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, প্রকল্পটিতে যুক্ত রয়েছে তুরস্ক ও পাকিস্তান। পঞ্চম প্রজন্মের ‘টিএআই টিএফ-এক্স’ ফাইটারের উন্নয়ন ও উৎপাদনের জন্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তুরস্ক। প্রকল্পটিতে ইতোমধ্যেই অংশগ্রহণ করেছে পাকিস্তান। তুর্কি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাহী পরিচালক টেমেল কোটিল এবং পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ভাইস মার্শাল রিজভান রিয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুলগেরিয়ান মিলিটারি।
ওই কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, এটি তুর্কি-পাকিস্তান ফাইটার জেট প্রোগ্রাম হয়ে উঠছে এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ইতোমধ্যেই চলছে। পাকিস্তানের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির চেষ্টা এটাই প্রথম নয়। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পাকিস্তান এভিয়েশন কমপ্লেক্স এবং পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর সাথে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে।
খবরে বলা হচ্ছে, উভয়পক্ষ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু জানা যায়নি। তবে তুরস্ক জানিয়েছে, নতুন টিএফ-এক্স দুটি দেশের বিমানবাহিনীর নীতি এবং অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তা অনুসরণ করবে। এটা কোনো গোপন বিষয় নয়। টিএফ-এক্স তুরস্কের জন্য একটি সুযোগ। কারণ দেশটির বিদ্যমান নৌবহরকে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ এর পরিবর্তে টিএফ-এক্স দিয়ে তারা সাজাতে পারবে।
তুরস্ক-পাকিস্তান কেন এক হচ্ছে: রাশিয়ান এস-৮০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার পর আঙ্কারাকে পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫ ফাইটার দেয়নি আমেরিকা। এজন্য তুরস্ককে আমেরিকান প্রোগ্রাম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরে ২০২১ সালে তুরস্ক তার এফ-১৬ আপগ্রেড করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করে।
পাকিস্তানের কাছেও মার্কিন এফ-১৬ ফাইটার জেট রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসলামাবাদ চীনা লাইসেন্সের অধীনে জেএফ-১৭ থান্ডার ফাইটার তৈরি করতে বেইজিংয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। এই মডেলের প্রায় ১৪০ জন যোদ্ধা পাকিস্তানি বিমানবাহিনীতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
এটাই শেষ নয়, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতা ইসলামিক বিশ্বকে চীন থেকে ২৫টি জে-১০সি জোরালো ড্রাগন কেনার অনুমতি দিয়েছে, যার প্রথম ইউনিটের ডেলিভারি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এর আগে একটি খবরে বলা হয়, ফাইটারটিতে ডব্লিউএস-১০বি থ্রাস্ট-ভেক্টরিং ইঞ্জিন রয়েছে। এটি আধুনিক চীনা আইআর এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে সজ্জিত।