পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ছোট-বড়-মাঝারি আকারের কলকারখানায় বিনিয়োগের পরিমাণ, আয়-ব্যয়, শ্রমিকের সংখ্যাসহ নানা তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে অর্থনৈতিক শুমারিতে। দেশের সামগ্রিক কলকারখানার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে ‘অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৩’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ পনিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৯ কোটি ৫২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এটি বাস্তবায়ন করবে বিবিএস।
প্রকল্পটির উদ্যোক্তা পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রকল্পটি আজ (মঙ্গলবার) অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেকে) উপস্থাপন করা হবে।
প্রকল্পটি সম্পর্কে বিবিএস পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ থেকে ছয়জন শ্রমিক নিয়ে চলা ছোট কারখানার তথ্য যেমন পাওয়া যাবে ঠিক তেমনি বড় বড় কারখানারও হিসাব পাওয়া যাবে।
মতিয়ার রহমান বলেন, এই শুমারির মাধ্যমে দেশের কারখানাগুলোর গতিবিধি বোঝা যাবে। সর্বোপরি এই শুমারির ফলাফল বিশ্লেষণ করে নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আর এই শুমারিটি হবে সম্পূর্ণ জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে : জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ অনুযায়ী দেশে বিদ্যমান অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা, কাঠামো, লিগ্যাল স্ট্যাটাস, কর্মকাণ্ডের ধরন, উৎপাদিত পণ্য বা সেবার ধরন, কর্মসংস্থান, স্থায়ী সম্পদের মূল্য ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালনা করলে জিডিপির হিসাব আরো আধুনিকীকরণ হবে। ফলে দেশের জিডিপির আকার এবং এর প্রবৃদ্ধি সঠিকভাবে নিরূপণ করা যাবে। এ ছাড়া তথ্যবিভ্রাট ও তথ্যের দ্বৈততা দূরীকরণের লক্ষ্যে কৃষিবহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ ও সরবরাহের পরিবর্তে একটি একক উৎস থেকে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তাই অর্থনৈতিক শুমারিই হতে পারে খাতভিত্তিক অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির পরিমাপক ও সরকারের অন্যতম তথ্যভাণ্ডার।
আরো ৫০ উপজেলায় হবে কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র
দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে তুলতে আরো ৫০ জেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তুলবে সরকার।
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এতে মোট ব্যয় হবে তিন হাজার ৭৫১ কোটি আট লাখ ৯৪ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। আজ মঙ্গলবার অনুমোদনের জন্য একনেকে উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৮২.১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ভবন নির্মাণকাজ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, আসবাব ক্রয়, কারিগরি দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়োগ প্রভৃতি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এই টিটিসিগুলো দ্বারা আমরা দেশের বাইরে থেকে যাঁরা ফেরত আসছেন তাঁদের প্রশিক্ষণ দেব, যাতে তাঁরা পরবর্তী সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে নানা ধরনের কাজের সুযোগ পান। আমরা এরই মধ্যে তালিকা প্রস্তুত করে ফেলেছি। টিটিসিগুলো নির্মিত হলেই আমরা এই কার্যক্রম হাতে নেব। পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ের তরুণরাও এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশ ও বিদেশে তাঁদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে পারবেন।’
সূত্র: কালের কণ্ঠ