পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় ভুটান টিকাদান কর্মসূচিতে সাফল্য অর্জন করেছে। গত সপ্তাহে দেশটিতে ৪ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে টিকা নেওয়ার জন্য উপযুক্ত মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ৩০ হাজার। অর্থাৎ ৮৫ শতাংশের বেশি মানুষকে দুই ডোজ টিকাই দেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির।
ভুটানের রাজধানী থিম্পু থেকে উইল পার্কস এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এমন একটি বিশ্ব চাই, যেখানে অতিরিক্ত টিকা আছে এমন দেশগুলো কম টিকা রয়েছে এমন দেশগুলোকে টিকা সরবরাহ করবে।’ তিনি আরও বলেন, ভুটানের মতো ছোট একটি দেশে চিকিৎসক, নার্সের স্বল্পতা রয়েছে। কিন্তু দেশটির রাজা ও সরকারের সুব্যবস্থাপনার কারণে টিকাদান প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
মার্চের শেষ দিকে ভারত সাড়ে পাঁচ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা ভুটানকে দিয়েছে। ভুটান এপ্রিলের শুরুর দিকেই দ্রুত এসব টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু করে। করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের কারণে প্রতিবেশী দেশ ভারত টিকা সরবরাহ স্থগিত করার আগেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়।
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়তে থাকায় ভুটান সরকার আরও টিকা সরবরাহের জন্য আবেদন জানায়।
ভুটান সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র মডার্নার পাঁচ লাখ ডোজ টিকা ভুটানকে দিয়েছে। ডেনমার্ক থেকে আড়াই লাখ ডোজ টিকাও ভুটানে ওই সময়ে এসে পৌঁছেছে। ক্রোয়েশিয়া, বুলগেরিয়া, চীন এবং আরও বেশ কয়েকটি দেশ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার ও সিনোফার্মের চার লাখের বেশি টিকা ভুটানে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভুটান সরকার ফাইজারের আরও দুই লাখ ডোজ টিকা কিনেছে। এ বছরের শেষে এই টিকা এসে পৌঁছাবে।
ভারত ও চীনের মাঝামাঝি অবস্থিত ভুটান সুখী দেশের তালিকায় রয়েছে। দেশটিতে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জনের কম সংক্রমিত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে মাত্র দুজনের।