৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় মেয়াদে মিসরের ক্ষমতায় সিসি

৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় মেয়াদে মিসরের ক্ষমতায় সিসি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নিশ্চিত করেছেন। ৮৯ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল সোমবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট নেওয়া হয়। গতকাল ফলাফল ঘোষণা করে দেশটির জাতীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, এবারের নির্বাচনে ৬৬ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটা ‘অভূতপূর্ব’ ঘটনা।

জাতীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, মোট ভোটের ৮৯ দশমিক ৬ শতাংশ পেয়ে জয়ী হয়েছেন সিসি। এ হিসাবে দেশটির প্রায় ৩ কোটি ৯০ লাখের বেশি ভোটার তাঁকে ভোট দিয়েছেন।

এক দশক ধরে মিসর শাসন করছেন সিসি। একসময় দেশটির সেনাপ্রধান ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করে মিসরের ক্ষমতা হাতে নেন সিসি। পরে ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি।

এবারের নির্বাচনে সিসির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আরও তিন প্রার্থী। তাঁদের কেউ তেমন পরিচিত মুখ নন। তাই ভোটের লড়াইয়ে সিসিকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়নি, ফলে সিসির জয় অনেকটাই অনুমেয় ছিল।

এরপরও এবারের নির্বাচনে সম্ভাব্য নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রচারে বাধা দেওয়া, তাঁর সমর্থকদের গ্রেপ্তার করার অভিযোগ উঠেছে সিসি প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

এবারের নির্বাচনে সিসির সবচেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা হাজেম ওমর। তিনি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া মিসরের বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ফরিদ জাহরান এবং শত বছরের পুরোনো রাজনৈতিক দল ওয়াফ্‌দের নেতা আবদেল সানাদ ইয়ামামা সামান্য ভোট পেয়েছেন।

আগামী এপ্রিলে তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন সিসি। মিসরের বর্তমান সংবিধান অনুয়ায়ী, প্রেসিডেন্ট পদে এটাই হবে তাঁর শেষ মেয়াদ।

এর আগে সংবিধান সংশোধন করে মিসরের প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করেন সিসি। সেই সঙ্গে দেশটির একজন প্রেসিডেন্ট পরপর দুই মেয়াদের পরিবর্তে তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন বলেও সংবিধানে অনুচ্ছেদ যুক্ত করেন তিনি।

সিসির শাসনামলে মিসরে হাজারো রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করার অভিযোগ রয়েছে। তবে প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমার আওতায় বছরে প্রায় এক হাজার বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, একই সময়ে এর তিন থেকে চার গুণ বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *