পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : প্রধানমন্ত্রী, আপনি তো ক্ষমতায় টিকে আছেন বন্দুকের নলের জোরে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বন্দুকও অনেক সময় কাজ করে না। অকার্যকর হয়ে যায় জনগণের শক্তির কাছে। ইসহাক সরকারকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এই মুক্তি যদি বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে আর ফুটপাত নয়- রাজপথের সমস্ত কনক্রিট উড়িয়ে আমরা এবার রাজপথে এমন ব্যারিকেড তৈরি করব।
বুধবার (২৬ আগস্ট) ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের মুক্তি দাবিতে ঢাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্যে এই হুমকি দেন তিনি।
রিজভী বলেন, গতকালও ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াদকে কোনো কারণ ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিদিন বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারা করোনা ও বন্যায় তারা ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে, এটাই তাদের অপরাধ।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, ইসহাক সরকারকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। এই মুক্তি যদি বাধাগ্রস্ত হয়, আর ফুটপাত নয়, এবার রাজপথের সমস্ত কনক্রিট উড়িয়ে আমরা রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করব।
তিনি বলেন, ফরিদপুরের ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের সাথে জড়িত, এটা তো ঢাকতে হবে। ফরিদপুরের দুই আওয়ামী লীগ নেতা ওই শহরে মার্সিডিজ গাড়ি চালায়, এই গুলোকে তো ঢাকতে হবে। জিকেজির সাবরিনার ঘটনাকে ঢাকতে হবে, রিজেন্ট হাসপাতালের সাহেদকে তো ঢাকতে হবে, ক্যাসিনোর সম্রাটকে তো ঢাকতে হবে। তাই ছাত্রদলের রিয়াদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাই ইসহাক সরকারকে দুই বছরের বেশি সময়ে আটকে রাখা হয়েছে।
রিজভী বলেন, এই সরকারের কোনো ভিত্তি নাই, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন না হলে প্রধানমন্ত্রী আপনার এত ক্ষমতা, কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পান। দিনের নির্বাচন নির্বাচন রাতে করেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ ছাত্রদলের কয়েকশ নেতাকর্মী।
/এএ