‘‌হাদীস কনফারেন্সে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মতবিনিময়ের দরজা উন্মুক্ত হবে’

‘‌হাদীস কনফারেন্সে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মতবিনিময়ের দরজা উন্মুক্ত হবে’

‘‌হাদীস কনফারেন্সে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মতবিনিময়ের দরজা উন্মুক্ত হবে’

রাজধানীর হাদিস গবেষণা ও পাঠদান কেন্দ্র জামিআ ইকরা বাংলাদেশ মিলনায়তনে মুহাদ্দিসীনদের ঐতিহ্য অনুসরণে পূর্ণ তিরমিযী শরিফের তেলাওয়াত ও সামাআত শীর্ষক আন্তর্জাতিক হাদীস কনফারেন্স ও উচ্চতর সনদ প্রদান মজলিস প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর মুখোমুখি হয়েছেন ঢাকা সার্কিট হাউজ মসজিদের খতীব, জামিআ ইকরা বাংলাদেশের রাইসুল জামিআ মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ। পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম-কে দেয়া সাক্ষাৎকারের চুম্বুকাংশ তুলে দেয়া হলো–

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আন্তর্জাতিক হাদিস কনফারেন্স সম্পর্কে কিছু বলুন।

মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ : প্রথমেই পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম পরিবারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি বিষয়ে আলোচনা ও সাক্ষাতকার গ্রহণের জন্য। ১২ জানুয়ারি রোববার থেকে আমাদের যে হাদিস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যদিও আমরা এটাকে কনফারেন্স শিরোনামে প্রকাশ করেছি কিন্তু গতানুগতিক কোন কনফারেন্স এটি নয়।

মৌলিকভাবে ‘সিহাহ সিত্তা’ বা হাদিসের বিশুদ্ধতর যে ছয়টি গ্রন্থ, তম্মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিশুদ্ধতম হাদিসগ্রন্থ ইমাম তিরমিযী (রহ.) রচিত সুনানে তিরমিযী ও তার ছোট্ট রচনা ‘কিতাবুল ইলাল’সহ রাসূল সা.-এর গঠন-দৈহিক অবয়ব সম্পর্কে রচিত বিশ্বখ্যাত ও তার সর্বাধিক প্রসিদ্ধ গ্রন্থ শামায়েলের শুরু থেকে শেষ আদ্যোপান্ত পাঠের কনফারেন্স এটা।

এটা হচ্ছে মৌলিকভাবে কনফারেন্স বলতে ‘সুনানে তিরমিযীর’ দরস এবং পাঠের কনফারেন্স। কনফারেন্স বলতে সাধারণত যে কনফারেন্স বোঝান হয় এটি তেমন কিছু নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উলামা-মাশায়েখগণ ও শিক্ষার্থীরা এখানে ইতোমধ্যে তাশরিফ এনেছেন যারা ‘সুনানে তিরমিযীর’ দরস ও পাঠদানের মাধ্যমে সনদদান ও সনদগ্রহণ করবেন।

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : এই কনফারেন্সের উদ্দেশ্য কী?

মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ : যেকোন মুমিন ও মুসলমানের মূল উদ্দেশ্য তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টি। এ মহতি উদ্যোগের মাধ্যমে প্রথমত আমরা সেটাই কামনা করছি। আর পার্থিবভাবে আমরা দু’টি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এগিয়েছি।

এক. পূর্বসূরী প্রাচীন উলামায়ে কেরামদের রীত-ধারা বা সুন্নাতকে অক্ষুণ্ন রাখা-বজায় রাখা। সেসময়ে হাদিসের সনদ সংগ্রহের লক্ষ্যে শতশত-হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিতেন তৎকালীন মাশায়েখগণ। কিতাবাকারে হাদিসের গ্রন্থিত ও সংকলিত হয়ে যাওয়ার পরে যদিও হাদিসের বিশুদ্ধতা বিচারে সনদের গুরুত্ব শাস্ত্রীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে, তদুপরি আমাদের পূর্বসূরী প্রাচীন আকাবিরদের সেই বিমল ধারা বা সুন্নতকে বরকতের উদ্দেশ্যে জিন্দা করা, অব্যাহত রাখা।

দ্বিতীয়. দেওবন্দি উলামায়ে কেরামের সনদ বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণ। আমাদের এখানে আরব বিশ্বের মাশায়েখগণ ও সমশ্রেণীর উঁচু সনদধারী আমাদের দেশের উলামায়ে কেরামগণ দরসদান করবেন। আরব বিশ্বের অসংখ্য ছাত্রও অংশগ্রহণ করছে এ কনফারেন্সে। আর আমরা জানি আমাদের উলামায়ে কেরামের সনদ দেওবন্দ-উলামায়ে দেওবন্দের সঙ্গে। তো আমরা চাচ্ছি উলামায়ে দেওবন্দের সনদটা যেন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। আগত এ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে আমাদের উলামায়ে কেরামের সনদ আরব-মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কোন কোন দেশের মাশায়েখগণ আগমন করবেন এ কনফারেন্সে?

মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ : আলহামদুল্লিাহ। এখানে আগমন করছেন প্রায় ১০০ বছর বয়সী মদিনা শরিফের একজন বড় শায়খ। স্বাভাবিকভাবে অনুমেয় হাদিস শাস্ত্রে কী বিরাট মাপের ব্যক্তিত্ব তিনি। তার নাম ‘আব্দুল মাজেদ হান্নাবী’। তিনি সিরিয়ার স্বনামধন্য বিখ্যাত শায়খ ‘আবুল খায়র মায়দানী’ (রহ.)-এর সরাসরি শাগরিদ। সারা বিশ্বে বর্তমানে আবুল খায়র মায়দানীর সরাসরি শাগরিদ নেই বললেই চলে। যেমন আরব বিশ্বের কিংবদন্তি সাহিত্যিক ‘আলি তানতাবি’ ও আবুল খায়র মায়দানীর ছাত্র ছিলেন। অনুরূপ আরব বিশ্বের অন্যতম আরেক বড় আলেম ‘হাসান হাবান্নাকা’। আব্দুল মাজেদ হান্নাবী তারও শাগরিদ। তো সে বিচারে তিনি হাদিস শাস্ত্রের ব্যুৎপত্তির অধিকারী একজন সিনিয়র শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব।

আরেকজন বিশেষ শায়খ আগমন করছেন যিনি মৌলিকভাবে ইরাকের। বর্তমান বিশ্বে যাকে ইসলামিক ম্যানুস্ক্রিপ্ট বা মাখতুতাত স্পেশালিস্ট হিসাবে গণ্য করা হয়। তিনি হলেন ড. নাজম আব্দুর রহমান খালাফ। যিনি ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত মদিনা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন। তৎপরবর্তী ১৯৯১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তিনি আমিরাত ইনিভার্সিটিতে, ইয়ারমুক ইউনিভার্সিটিতে, আযমান ইউনিভার্সিটিতে ছিলেন। এবং বর্তমানে তিনি মালয়শিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

যে বৈশিষ্ট্যে তিনি অন্যেদের তুলনায় ভিন্ন মর্যাদায় ভূষিত সেটা হল, তিনি উলুমে হাদিসে বিশেষ পাণ্ডিত্যের অধিকারী হওয়ার পাশাপাশি ‘ইসলামি মাখতুতাত’ এর ব্যক্তিগত সংগ্রহ-ই রয়েছে তার প্রায় বিশ হাজার! সারা বিশ্বের বৃহদকায় যে গবেষণাগার, ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরি বিদ্যমান, তারা মাখতুতাত বিষয়ে স্মরণাপন্ন হন ড. নাজম আব্দুর রহমান খালাফের কাছে! আমরা আশাবাদী যে অচিরেই আমাদের জামিয়া ইকরা বাংলাদেশে লাইব্রেরির গবেষণাগারে পৃথক একটি ডিপার্টমেন্ট খুলব মাখতুতাতের। এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে শায়খ নাজম আব্দুর রহমান খালাফ ইতোমধ্যে আমাদের জানিয়েছেন।

এছাড়াও আগমন করছেন মক্কা শরিফের শায়খ আব্দুল ওয়াহিদ আল মাযাহেরী, শাইখুল ইসলাম সাইয়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী (রহ.)-এর ছাত্র আল্লামা বিলাল আসগার কাসেমী, শাইখুল ইসলাম সাইয়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী (রহ.)-এর ছাত্র আল্লামা মুহাম্মাদ গানেম কাসেমী, ফখরুল মুহাদ্দিসীন মাওলানা সাইয়্যিদ ফখরুল হাসান মুরাদাবাদী (রহ.)-এর ছাত্র আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, সনদ ও মতনসহ কুতুবে সিত্তাহ-এর হাফেজ ও উলূমে হাদীস বিশেষজ্ঞ শায়খ হাসান হায়দার আল-ওয়ায়েলী, শাইখুল হিন্দ ও মাওলানা ইয়াকুব নানুতুবী রহ.এর শাগরিদ আল্লামা রাসূল খান হাজারাভী (রহ.)-এর ছাত্র মাওলানা নুরুদ্দীন লাহোরী, শায়েখ নাসির খান (রহ.)-এর ছাত্র মাওলানা আব্দুর রহীম কাসেমী। আরো আছেন মিশর, ইরাক, ইউকে, সিরিয়াসহ উল্লেখযোগ্য অন্যান্য দেশের মাশায়েখসহ বাংলাদেশের কয়েকজন সিনিয়র উলামায়ে কেরাম।

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইতোপূর্বে বাংলাদেশের কোথাও কি এ জাতীয় প্রোগাম হয়েছে?

মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ : আমাদের জানা মতে আমরা যেভাবে তিরমিযীর পাঠদান ও ‘আলী’ বা উঁচু সনদ প্রদানের এ আয়োজন করেছি, বাংলাদেশে তা এই প্রথম। পূর্বে কখনো হয়নি। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করলে এটাই শেষ নয়। আমরা আবু দাউদ শরিফ, মুসলিম শরিফ ও বুখারী শরিফসহ অন্যান্য কিতাবগুলো নিয়েও এমন কনফারেন্স প্রতিবছর করব ইনশাআল্লাহ।

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : এ কনফারেন্সে তো শুধু ইবারত পাঠ হবে! সেক্ষেত্রে সাধারণ তালিবুল ইলমদের এখান থেকে কতটুকু উপকারিতা লাভের সুযোগ রয়েছে? তবে কি এটা কেবলি হাদিস চর্চাকারীদের জন্য?

মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ : আমরা আমাদের যে নীতিমালা রেখেছি এ ক্ষেত্রে সেটা হল, অংশগ্রহণকারীদের স্বাভাবিক যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাকে মাস্টার্স ডিগ্রির অধিকারী হতে হবে। আফটার মাস্টার্স সে কোথাও ডক্টরেট করছে কিংবা অন্যকিছু। এবং যেহেতু তখন সে যোগ্যরূপে বিবেচিত তাই অংশগ্রহণের সুযোগ সে তখন পাবে। কারণ আমাদের এ কনফারেন্সের উদ্দেশ্য হলো অংশগ্রহণকারীদের হাদিসের ইবারত পাঠের মাধ্যমে সনদটা তাদের হাসিল হওয়া। লাভ হওয়া। আর সাধারণ যোগ্যতা ব্যতিরেকে তা সম্ভব নয় বলে সহজেই অনুমেয়।

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আমরা যতটুকু শুনেছি, এ কনফারেন্স শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করা হবে। বর্তমান বিশ্বে ‘হাদিসের সনদের’ গুরুত্ব কতখানি?

মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ : সনদের গুরুত্ব সকল যুগেই সমান মাত্রায় বিদ্যমান। দেখুন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক বলছেন, ‘আল ইসনাদু মিনাদ দ্বীন।’ সনদ হচ্ছে ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এটি অংশ। মুসলিম শরিফে রয়েছে ইসলামের সকল বিষয়ের বিশুদ্ধতা-যথার্থতা নির্ভর করে ‘আম্মান?’ এটা তুমি কার কাছ থেকে শুনেছ? তার ব্যাকগ্রাউন্ড কি? আমরা যখন কুরআন-হাদিস, দ্বীন সম্পর্কে কোন কথা বলব তখন সেটা যদি নিজের রেফারেন্সবিহীন নিজের থেকে বলি, আমরা জানি সেটাকে বলে বেদআত। আমি যে হাদিসটি বর্ণনা করছি উদহারণত- ‘ইন্নামাল আমালু বিন নিয়্যাত’। এ হাদিসটির আমার অবিচ্ছিন্ন সূত্র পরম্পরায় রাসূল সা. পর্যন্ত রয়েছে নির্মল যোগসূত্র। আমি আমার শায়খ থেকে, তিনি তার শায়খ থেকে এভাবে ইমাম বুখারী পর্যন্ত। এরপর থেকে রাসূল সা. যোগসূত্রের বাকি ধারা তিনি উল্লেখ করে দিয়েছেন।

বর্তমানে সংকলিত আকারে গ্রন্থিত হয়ে যাওয়ায় তেমনটা গুরুত্ব সনদের না থাকলেও আমরা আমাদের আকাবিরদের সেই বিমল ধারাকে অব্যাহত রাখতে চাচ্ছি। এছাড়া দ্বীনের কোন মাসআলা-মাসায়েল, হাদিস-কুরআনের বিষয়ে যে কারো কথা বলার অধিকার নাই। ইসলামের এটা মৌলিক রীতি, ‘আম্মান?’ তুমি কথাটা কার কা্ছ থেকে শুনেছ? কার কাছ থেকে শিখেছ? ব্যাকগ্রাউন্ড কি দেখাও!

তো সনদ ইসলামের এটা অংশ। এটা আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। সনদ বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি ব্যাপকার্থে। শুধু হাদিসের ক্ষেত্রেই নয়! রেফারেন্স। যে কোন একটা মাসআলার রেফারেন্স বা আমি কুরআন বলব, হাদিস বলব, কোন তাফসির বলব দ্বীনি বিষয়ক যেটাই আমি বলব সেটার সনদ বা রেফারেন্সের গুরুত্ব আগে যেমন ছিল এখনও আছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। এটা ইসলামের একটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য, অন্যতম একটা অঙ্গ।

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আরব বিশ্বের আহলে ইলমদের আমরা এই প্রথম হাদিসের দরস নিতে বাংলাদেশে আগমনের বিষয়টি দেখতে পাচ্ছি। এটি আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন।

মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ : অবশ্যই এটা একটা প্রশংসনীয়, পজেটিভ এবং আমি তো বলব, একটি ঐতিহাসিক বিষয় হতে চলেছে। এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে বাংলাদেশের, মানুষের এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামের। কারণ আমরা জানি, আরব বিশ্ব বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম, তাদের হাদিসচর্চা, জ্ঞানচর্চা বিষয়ে তেমন একটা অবগত নন। এটা হয়ত আমাদেরই ব্যর্থতা, আমরা তাদেরকে ওয়াকিফহাল করতে পারিনি কিংবা যোগাযোগটা গড়ে উঠেনি। তাই আমরা আশা করছি, আমাদের এই ইজতেমা, আমাদের এই কনফারেন্স ও সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মাশায়েখদের সাথে আমাদের উলামাযে কেরামের যোগাযোগ ও সুনিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠবে। এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম, তাদের ইলমচর্চা, জ্ঞানচর্চা, দ্বীনচর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠবেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শুধু ইলমে হাদিসই নয় দ্বীন বিষয়ক পারস্পরিক মতবিনিময়ের দরজা খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করবে এ হাদিস কনফারেন্স।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *