আইসিসির হাত থেকে বাঁচাতে সাকিবের পাশে বিসিবিও
পাথেয় রিপোর্ট : প্লে বয় সাকিবল আল হাসান। বাইরের দেশে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন তিন। এদিকে হিসাব কষতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডও। ক্রিকেট পাড়া সরগরম, যেনো থামছেই না ঘটনার পর ঘটনা। একের পর এক রঙ পরিবর্তন হচ্ছে। এক সাকিব আল হাসানকে নিয়েই গত কয়েকদিন ধরে সরগরম ক্রিকেট পাড়া। কিন্তু না! আসল কারণ নিষেধাজ্ঞা। এরই মধ্যে আইসিসির সঙ্গে দেনদরবার শুরু করেছেন সাকিব। প্রয়োজনে শাস্তি কমাতে আবেদন করবেন তিনি। তার পাশে রয়েছে বিসিবিও।
আইসিসির আইন অনুযায়ী, বাজিকররা কোনো ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতানোর অফার করলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে আকসুকে জানাতে হয়। এটা গোপন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এক্ষেত্রে ৬ মাস থেকে ৫ বছরও আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হতে পারেন ক্রিকেটার।
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। ভারত সফরে তিনি যাচ্ছেন কি-না, তা এখনো নিশ্চিত করেনি দেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রাজধানীর গুলশানে বোর্ড সভাপতির বাসভবনের সামনে, মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এবং সাকিবের বাসার সামনে অপেক্ষা করছেন গণমাধ্যম কর্মীরা। ফলাফল কী জানতে উন্মুখ সবাই।
বাবা হওয়ার কারণে ভারত সফরে যাচ্ছেন না তামিম ইকবাল। ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অনিশ্চিত সাকিবও। ২ বছর আগে তাকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেয় মোস্ট ওয়ান্টেড এক জুয়াড়ি। তবে সঙ্গে সঙ্গে আকসুকে সেটি জানাননি তিনি। এ ব্যাপারে ওই সময় তাকে জিজ্ঞেস করা হলেও বিষয়টি অস্বীকার করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
পরে সাকিবের ফোন কল ট্র্যাক করে ঘটনার সত্যতা পায় দুর্নীতি দমন ইউনিট। স্বভাবতই চেতেছে তারা। তাকে ১৮ মাস নিষিদ্ধের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আকসু।
সঙ্গত কারণে ভারতের বিপক্ষে ঘোষিত টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে পরিবর্তন আসছে। মঙ্গলবার চূড়ান্ত দল ঘোষণা করবে বিসিবি। তাতে সাকিবের না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। সম্প্রতি বেতন-ভাতাদি বাড়ানোসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবিতে ক্রিকেটারদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। এরপর থেকেই আলোচনায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
পরে ভারত সফরের জন্য জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পেও যোগ দেননি সাকিব। উপরন্তু ধর্মঘট চলাকালে একটি টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেন তিনি। তাতে বেজায় চটা বিসিবি। ধারণা করা হচ্ছিল, এসব কারণেই সেখাবে ক্রিকেটে মনোযোগ দিচ্ছেন দেশসেরা ক্রিকেটার।