পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: আফগানিস্তানের তালেবান সরকার তার সাবেক মুখপাত্রকে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। ২০২১ সালে দেশটির ক্ষমতায় আসার পর আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান দূতকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে চীন।
শুক্রবার তালেবানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্সের।
তালেবানের সাবেক মুখপাত্র বিলাল করিমি দায়িত্ব নিতে নভেম্বরের শেষের দিকে চীনে পৌঁছেছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বলখি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনে আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেটের সরকারি স্বীকৃত রাষ্ট্রদূত। ২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি প্রথম এই জাতীয় দূত।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অফিস মন্তব্য করার অনুরোধের সাড়া দেয়নি। চীন সরকার এই পদক্ষেপকে সরকারি স্বীকৃতির দিকে একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেছে কিনা তা জানায়নি।
বেইজিংয়ে আফগান দূতাবাস পরিচালনার জন্য পাঠানো পূর্ববর্তী তালেবান কর্মকর্তা ছিলেন একজন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স। এটি এমন একটি পদ যার জন্য স্বাগতিকদের কাছে রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র দেখানোর প্রয়োজন হয় না। পদক্ষেপটি রাষ্ট্রদূতের ক্ষেত্রে স্বাগতিক সরকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির ওপর নির্ভর করে।
মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর চীনসহ কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। সেপ্টেম্বরে চীন প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানে নতুন রাষ্ট্রদূতের নাম ঘোষণা করে।
অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স বা রাষ্ট্রদূত রয়েছে যারা পূর্ববর্তী ন্যাটো-সমর্থিত সরকারের অধীনে তাদের পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেছিল। তালেবান প্রশাসন বলেছে, তারা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের স্বাক্ষরিত বেল্ট অ্যান্ড রোড অবকাঠামো প্রকল্পে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।