পাথেয় রিপোর্ট : গুজরাতের প্রসিদ্ধ আলেম মাওলানা আব্দুল্লাহ কাপোদরাওয়ীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামা হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারি সাইয়্যিদ মাওলানা মাহমুদ মাদানী। তিনি বলেন, মাওলানা আব্দুল্লাহ নির্ভরযোগ্য ও গভীর সূক্ষ্মদর্শী আলেম ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি জামিয়া ফালাহ দারাই তার্কিসর গুজরাতের দায়িত্বশীল ছিলেন। তার দিকনির্দেশনা ও পরিচালনাতেই এ প্রতিষ্ঠান শিক্ষার ময়দানে আলাদা জায়গা দখল করে নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
মরহুম মাওলানা ১৯৫৫ সালে সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ফারেগ হয়ে গিয়েছেন। তিনি শাইখুল ইসলাম হযরত মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.’র শাগরেদও ছিলেন। শিক্ষা ও পাঠদানের মাধ্যমে তিনি বিশাল খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। দ্বীনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তার লিখিত গ্রন্থাবলী এক ডজনেরও অধিক। তার ছাত্র ও মতাদর্শের একটি বিশাল জামাত তার অনুপ্রেরণায় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে দ্বীনের দাওয়াত প্রচারে সফর করে গেছেন।
মাওলানা মাহমুদ মাদানী বলেন, মাওলানা মরহুমের সঙ্গে জমিয়তে উলামা হিন্দ ও আমার সম্পর্ক ছিলো আত্মার। একসময় তিনি জমিয়তে উলামা হিন্দ গুজরাতের মেম্বারও ছিলেন এবং পরেও এর সাথে গভীর সম্পর্ক রেখেছিলেন। গুজরাত সফরে যখনই তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে অনেক ব্যস্ততা সত্ত্বেও অত্যন্ত বিনয় আর মুহাব্বতের সাথে সময় বের করে বিভিন্ন ফায়সালা দিয়ে উপকৃত করেছেন।
মাওলানা মাদানী বলেন, মাওলানা মরহুমের ইন্তেকাল জাতীয় ও দ্বীনী হালকাগুলোয় এক বিরাট শূন্যতা। মাওলানা মাদানী মরহুমের শুভানুধ্যায়ীদের কাছে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মাদরাসা ও জমিয়তে উলামা হিন্দের সকলের কাছেই তার জন্য ইছালে সাওয়াব,দোয়া ও মাগফিরাত কামনার আহ্বান করেন।
এছাড়াও আনজারে অবস্থানরত জমিয়তে উলামা হিন্দের সেক্রেটারি মাওলানা হাকীমুদ্দীন কাসেমী জানান, মাওলানা আব্দুলাহ’র ওফাতের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই জামিয়া চিলড্রেন ওলীজ আনজারে কুরানখানি ও ইছালে সাওয়াবের ব্যবস্থা করেন।
অনুবাদ ও গ্রন্থনা : কাউসার মাহমুদ
তথ্যসূত্র : জমিয়তে উলামা হিন্দ
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির