পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আরাকান আর্মির হামলায় মিয়ানমারে ১৩ পুলিশ নিহত হয়েছে। জানা যায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চারটি তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে দেশটির ১৩ পুলিশকে হত্যা করেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। আহত হয়েছেন আরো ৯ জন পুলিশ। ৫ জানুয়ারি শুক্রবার মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে এই হামলা হয়।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইন থু খা রয়টার্সকে বলেছেন, তাদের সদস্যরা চারটি পুলিশ পোস্টে আক্রমণ করেছে। পরে ‘শত্রুর’ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ জন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমরা তাদের ক্ষতি করব না।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাদের সদস্যদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের জবাবে এই হামলা চালানো হয় বলে জানান আরাকান আর্মির মুখপাত্র। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জ মিন তুন রয়টার্সকে বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মংডু ও বুথিডং শহরের উত্তরাংশে পুলিশ পোস্টগুলোতে শুক্রবারের এই হামলার পাল্টায় ব্যবস্থা নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্য রাখাইনে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ হয়। আবার এই রাজ্যেই গত বছর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এসব মুসলিম রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াইয়ে গত বছরের শেষে দুই হাজার ৫শত বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এদিকে ভারতের কর্ণাটকে একই পরিবারের ৬ সদস্যের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। দেশটির পুলিশ শনিবার গণমাধ্যমে এই তথ্য জানায়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয়দের ধারণা ওই পরিবারের সকল সদস্য আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ সন্দেহ করছে, ওই পরিবারের কর্তা শেখরিয়া বীরনাল( ৪২) তার স্ত্রী ও চার কন্যাকে বিষ পানে হত্যা করেছেন। এরপর তিনি ফ্যানের সঙ্গে আত্মহত্যা করেন। নিহতরা হচ্ছেন স্ত্রী জায়ামা (৩৯) এবং তার চার কন্যা বাসাম্মা (২৩), গৌড়ম্মা (২০), সাবিত্রী (১৮) ও পার্বতী (১৬)।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, পরিবারটি ব্যাংক লোন ছিল। তারই জেরে এ আত্মহত্যা। পুলিশ ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।