ইকরায় হাদীস কনফারেন্স আয়োজনে আমি মুগ্ধ : ব্রাডফোর্ড মাদরাসা মুহতামিম
জামিআ ইকরাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করবে হাদীস কনফারেন্স
ব্রিটেনের লন্ডনের ব্রাডফোর্ডে অবস্থিত বাইতুল ইলম মাদরাসার মুহতামিম ও মসজিদের খতীব মাওলানা শেহাব উদ্দীন অংশ নিচ্ছেন রাজধানীর জামিআ ইকরা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক হাদীস কনফারেন্সে। ১১ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার দুপুরে জামিআ ইকরা চত্বরে এলে তার সঙ্গে কথা হয় পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে। নিচে আলোচনার চুম্বুকাংশ তুলে ধরা হলো-
মাসউদুল কাদির : জামিআ ইকরায় কেন এলেন?
মাওলানা শেহাব উদ্দীন : আন্তর্জাতিক হাদীস কনফারেন্সের আয়োজন করছে জামিআ ইকরা বাংলাদেশ। এটা আমার দেশ। এখানে এই সুন্দর আয়োজন হচ্ছে, তাই আমি এতে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি।
মাসউদুল কাদির : এর আগে আরও কোথাও কি আন্তর্জাতিক হাদীস কনফারেন্সে অংশ নিয়েছেন?
মাওলানা শেহাব উদ্দীন : জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ। অনেক বার অংশ নিয়েছি। ভারতবর্ষেই দুই বার অংশ নিয়েছি। একবার আজমগড় আরেকবার মহারাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক হাদিস কন্ফারেন্সে অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া আমি তুরস্কের ইস্তাম্বুলেও আন্তর্জাতিক হাদীস কনফারেন্সে অংশ নিয়েছি।
মাসউদুল কাদির : বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক হাদীস কনফারেন্সে অংশ গ্রহণ করতে কেমন লাগছে?
মাওলানা শেহাব উদ্দীন : বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি। এ কথা শোনে আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছি। দীর্ঘ আট বছর পর দেশে এসেছি। আল্লাহর মেহেরবানী। দেশীয় ওলামায়ে কেরামের কাছ থেকেও ফায়দা হাসিল করতে পারবো জেনে ভালো লাগছে।
মাসউদুল কাদির : আপনার পড়াশোনা কোথায়?
মাওলানা শেহাব উদ্দীন : আমার খুব ইচ্ছা ছিল, আমার বাবার ইচ্ছা ছিল আমি যেনো দারুল উলূম দেওবন্দ গিয়ে পড়ালেখা শেষ করি। কিন্তু একটা বিশেষ পরামর্শে আমি পুরো পড়ালেখাটাই লন্ডনে শেষ করেছি। এরপর ভারতে দেওবন্দসহ অসংখ্য মাদরাসা হাদীসের সামআত করেছি।
মাসউদুল কাদির : এই আয়োজনে আন্তর্জাতিকভাবে জামিআ ইকরাকে পরিচিতি করবে বলে মনে করেন?
মাওলানা শেহাব উদ্দীন : অবশ্যই। এটা আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। জামিআ ইকরাকে নতুনভাবে পরিচিত করবে। বিদেশী মিডিয়াতেও এর প্রচার হবে।ওয়াটস্যাপে প্রচুর মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত হবে।
মাসউদুল কাদির : কার প্রেরণায় মাদরাসায় এলেন
মাওলানা শেহাব উদ্দীন : সাইয়্যিদ আসআদ মাদানি রহ.-এর কাছে মুরীদ ছিলেন আমার বাবা। এ কারণেই মূলত বাবা আমাকে মাদরাসায় পড়ানোর নিয়ত করেন। এবং আল্লাহ আমাকে কবূল করেছেন। আলেম হয়েছি এবং ইফতাও পড়তে পেরেছি।