ইমার্জেন্সি-আউটডোর বন্ধ, সেবা পেতে রোগীদের করুণ আকুতি

ইমার্জেন্সি-আউটডোর বন্ধ, সেবা পেতে রোগীদের করুণ আকুতি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ডাক্তারদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর ও ইমার্জেন্সি সেবা বন্ধ রয়েছে। আর তাই সকাল থেকেই দেশের নানান প্রান্ত হতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। অনেকেই যন্ত্রণায় দাঁড়াতে না পেরে আকুতি জানাচ্ছেন বসতে বা শুতে দেওয়ার জন্য। অনেকে আবার যন্ত্রণায় মাদুর পেতে শুয়ে অসহায় আকুতি জানাচ্ছেন ভর্তির জন্য।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। অনেক রোগী শুয়ে আছেন স্ট্রেচারে। সবারই জিজ্ঞাসা-কখন ডাক্তার রোগী দেখবেন?

শিল্পী ও তাসলিমা দুই বোন মাদারীপুর থেকে বাবাকে নিয়ে এসেছেন ভর্তি করাতে। তাদের সঙ্গে কথা হয় ইমার্জেন্সি গেটে। সকাল ৭টায় পিজি হাসপাতাল থেকে ডাক্তাররা ঢাকা মেডিক্যালে পাঠিয়েছেন। কিন্তু ৮টায় এখানে পৌঁছে দেখেন চিকিৎসা সেবা বন্ধ। বাবার ভোগান্তিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুই বোন।

তারা জানান, গত সপ্তাহে পিজি হাসপাতালে দেখানোর পর আজ সকালে আবারও দেখাতে আসেন। সেখানে সিট খালি না থাকায় ঢাকা মেডিক্যালে রেফার করা হয়। কিন্তু এখানে এসে দেখেন সব বন্ধ। হাসপাতালে সকাল থেকে বেশকিছু লোকের কাছে একটু বসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও কেউ সাড়া দেয়নি। এই রোগীকে যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখা যায়।

লাইজু বেগম ঢাকার মীরপুর থেকে এসেছেন স্বামীকে ভর্তি করানোর জন্য। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এখানে রেফার করা হয়েছে তাদের। সকাল এখানে এসে ইমার্জেন্সিতে টিকিটও কেটেছেন, কিন্তু ডাক্তার দেখাতে পারেননি। শুনছেন চিকিৎসা সেবা বন্ধ। স্বামীকে ইমার্জেন্সি গেটের ভেতরে মাদুর পেতে শুইয়ে রেখে তিনি ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করছেন। পায়ের ক্ষত ও কিনডি সমস্যায় বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছেন স্বামী বিল্লাল।

গত চার দিন ধরে ভর্তি আছেন আসমা বেগম। তার সঙ্গে আছেন স্বামী ইসমাইল মিয়া। তিনি বলেন, ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি। ভালো চিকিৎসা হচ্ছে না। আজ রিপোর্ট দেখার কথা, কিন্তু ডাক্তার নাই। নার্সরা আছে তাও কোনোরকম। যারা এসব ঘটনার জন্য দায়ী তাদের বিচার করতে হবে, কিন্তু আমরা অসহায় রোগীকে কেন ভুগতে হবে।

বেশ কয়েকজন ভর্তি রোগীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওয়ার্ডের রোগীদের সেবা মোটামুটি হচ্ছে। কোনও ডাক্তার নেই। নার্সরা সেবা দিচ্ছে, তবে আগের মতো না।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Related Articles