পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: চলমান ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের এই নৃশংস নিপীড়ন, বোমা বর্ষণ, ও হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা। গত দুই সপ্তাহে গাজার ১টি গির্জা ও ২৬ টি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। বিশেষ করে গাজার আহলী হাসপাতালে ইসরায়েল বিমান হামলা ইতিহাসের সকল পাশবিকতাকে হার মানিয়েছে। নিষ্পাপ শিশুদের বিক্ষত দেহ, তাদের রক্তের অশ্রু ইসরায়েলকে কখনো ক্ষমা করবে না।
বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা জানায়, কোনো ধর্মই অত্যাচার নিপীড়ন ও নৃশংসতাকে সমর্থন করে না। পৃথিবীর সকল ধর্মই শান্তি ও সম্প্রীতির কথা বলে। এই পাশবিক আচরণে বুঝা যায় ইসরায়েল কোনো ধর্মেরই ধার ধারে না, তারা মানবাধিকারেরও কোনো তোয়াক্কা করে না। তাদের চালানো এই হত্যাযজ্ঞ নিঃসন্দেহে একবিংশ শতাব্দীর ভয়াবহতম জেনোসাইড। আন্তর্জাতিক আদালতে খুব দ্রুত তাদের বিচার হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা মনে করে সভ্যতার দাবিদার রাষ্ট্রগুলোর ইসরায়েলের পক্ষপাতী করা চরম সাম্প্রদায়িকতার পরিচয়। তাদের মনে রাখা উচিত সন্ত্রাসবাদের সমর্থন করাও স্পষ্ট সন্ত্রাসবাদ। ইসরায়েলের মানবতা বিরোধী অপরাধে তারাও সমান অপরাধী বিবেচিত হবে।
ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া কোনো সভ্য জাতীর পক্ষে সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা, জাতিসংঘ ওআইসি, মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে অনতিবিলম্বে জায়োনিস্টদের চালানো এই গণহত্যা বন্ধের ব্যাবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে। এবং ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সেখানে শান্তি ফিরে আনার দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।
সূত্র, বাংলদেশ জমিয়তুল উলামার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ