পাথেয় রিপোর্ট : এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসেছে আট ইসলামী দল। আসন্ন জাতীয় একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিকল্পধারা, জাতীয় পার্টির পর চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসেছে আটটি ইসলামী দল।
০৬ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টায় গণভবনে এ সংলাপ শুরু হয়েছে।
সংলাপে বসা দলগুলো হচ্ছে-জাকের পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ জালালী পার্টি, আশিক্কিনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় ইসলামী জোট-বিএনআইএ, বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট, ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (আইডিএ)।
এ ছাড়া সন্ধ্যা ৭টায় সংলাপে অংশ নেবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের দলগুলো হল- বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন।
এর আগে, গত ১ নভেম্বর গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল। পরদিন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের। আগামীকাল৭ নভেম্বরের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষ হবে সরকারের।
এর মধ্যে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগামীকাল বেলা ১১টার দিকে গণভবনে আবারও ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপে বসবে। অন্যদিকে ড.কামালের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন এ দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে ড.কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে। আনুষ্ঠানিকভাবেই ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ।
০৫ নভেম্বর সোমবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এ ঘোষণা দেন। এর মাধ্যমেই অবশেষে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। জানা গেল, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই’ বলে যে প্রবাদ আছে ঠিক তেমনই কখন যে কি ঘটবে তাও বলা মুশকিল!
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়ার পরপরই তিনি ছুটে যান ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে। এ সময় বঙ্গবীরকে কাছে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার এটি। আপনি (বঙ্গবীর) বারবার ঝুঁকি নিয়েছেন দেশ রক্ষায়। আপনাকে সঙ্গে পেয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই। আমি এখন অবসরে গেলে চিন্তা নেই।