এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শুভ কামনা

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শুভ কামনা

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শুভ কামনা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম :: শহরের পরীক্ষা হলগুলোতে পৌঁছুতে যানজটের শিকার হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে প্রথম দিনের পরীক্ষা। সকালে রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এই কেন্দ্রে দেখা গেছে, ১৭ জন পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময় উপস্থিত হতে পারেননি। পরে খাতায় তাদের তথ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়। তারা সবাই যানজটকে বিলম্বের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এদিকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় সকালে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় দেশজুড়ে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৯ পরীর্ক্ষার্থী অংশ নেয়। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এ পাবলিক পরীক্ষার জন্য এক মাস দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার।

পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে শিক্ষা বোর্ড, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের ছয় দফা নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে ছিল পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো শিক্ষার্থী দেরি করে কেন্দ্রে এলে রেজিস্ট্রারের নাম, ক্রমিক নং ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। এ জন্যই শিক্ষার্থীরা যানজটকে দায়ি করে। দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানানোর কথা রয়েছে কেন্দ্র সচিবের। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবার নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা।

শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইলফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত মোবাইলফোন বা ইলেকট্র্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে প্রতিটি কেন্দ্রে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও যে কোনো ধরনের অসাধুপায় এড়াতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ছাড়া আর কারোর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

একাধিক প্রশ্নপত্রের সেট ট্রেজারি বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে সরবরাহ করা হলেও পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে জানিয়ে দেওয়া হবে কোন সেটে পরীক্ষা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে অনুসরণ করা হবে জিরো টলারেন্স নীতি। আমরা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শান্তিপূর্ণ পরীক্ষা কামনা করছি। শুভ কামনা রইলো সবার প্রতি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *