নিজস্ব প্রতিবেদক ● কবি আবদুল হাই মাশরেকীর ৯৮ তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, আবদুল হাই মাশরেকী বাংলা সাহিত্যে লোকজীবনের অভীপ্সার রূপকার। তার সঙ্গীত ও কাব্য মানুষের ভেতর যেমন নাড়া দিয়েছে, তেমনি রয়েছে দেশমাতৃকার জন্য মমত্ববোধ লালন-পালনের শিক্ষার বাণী।
লোককবি আবদুল হাই মাশরেকী গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা অডিটোরিয়ামে শনি ও রোববার দুই দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি তার বক্তব্যে কবি আবদুল হাই মাশরেকী রচিত কালজয়ী গানের কথা উল্লেখ করে বলেন, মাটি ও মানুষের এই কবির অবদানের কথা নতুন প্রজন্মের কাছে বেশি করে তুলে ধরতে হবে।
জন্মজয়ন্তী উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক ড. এস এম আফসারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কবি অসীম সাহা, অভিনেতা শংকর সাঁওজাল, বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক কবি ড. আমিনুর রহমান সুলতান, আবৃত্তি শিল্পী ভাস্কর বন্দোপাধ্যায়, লোক সঙ্গীত গবেষক রফিকুল হক ঝন্টু, গীতিকবি ফেরদৌস হাসান ভূইয়া, কবিপুত্র ও লোককবি আবদুল হাই মাশরেকী গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক নঈম মাশরেকী, কবিপুত্র ও সাংবাদিক শামীম মাশরেকী প্রমুখ।
গত রোববার সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে কবি আবদুল হাই মাশরেকী রচিত ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার জারি’র কোরিওগ্রাফী পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কাদামাটি’। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কবির রচিত কালজয়ী বিভিন্ন গান, কবিতা আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন করা হয়।