কুরআনের মাস তেলাওয়াতের মাস

কুরআনের মাস তেলাওয়াতের মাস

কুরআনের মাস তেলাওয়াতের মাস

মাওলানা আমিনুল ইসলাম : রমজান কোরআন নাজিলের মাস, আসুন! বেশী বেশী কোরআন তেলাওয়াত করি। রমজান কোরআন নাজিলের মাস।এ মাসেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই এ মাসের সাথে পবিত্র কুরআনের বড় সম্পর্ক রয়েছে।

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,  শাহরু রামাদানাল্লাজি উনঝিলা ফিহিল কুরআন

” রমজান মাস,যাতে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, ( সুরা বাকারা-)

এজন্য কোরআন নাজিলের মাস রমজান, এই মাহে রমজানে কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি খুব জোর দিতে হবে। বেশী বেশী তেলাওয়াতে মনোনিবেশ করতে হবে।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মাহে রমজানে বেশী বেশী তেলাওয়াত করতেন। তিনি প্রতি রমজানে জিব্রাইল (আঃ) এর সাথে পবিত্র কুরআন দাওর করতেন। মানে একবার জিব্রাইল (আঃ) তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কোরআন শোনাতেন, আবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিব্রাইলকে কোরআন শোনাতেন। এভাবে তারা একে অপরকে শোনাশুনি করতেন পবিত্র কোরআন শরীফ।

রমজান মাস আসলে আমাদের আকাবির আছলাফগণ বেশী বেশী কোরআন তেলাওয়াতে মগ্ন থাকতেন। সকল ইবাদতের সাথে কোরআন তেলাওয়াতকে বেশী প্রাধান্য দিতেন।

তার কারণ নফল ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ইবাদত হলো কোরআনের তেলাওয়াত। একারনে সকল বুজুর্গদের নিয়ম ছিল বেশী বেশী তেলাওয়াত। বুজুর্গদের খানকায় কোরআন তেলায়াতের প্রতি বেশী গুরত্বারোপ করা হয়।

এই মাহে রমজানে অনেক বুজুর্গানে দ্বীনের খানকায় দেখেছি, কোরআন তেলাওয়াতের আসর। মনে হত যেন কোরআন তেলাওয়াতের পাল্লা চলছে। কত মানুষ কোরআন তেলাওয়াত করতে করতে যেন ইশকের দরিয়ায় হাবুডুবু খাচ্ছে।

একে তো রমজান মাস, রোজাদারের উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত থাকে। এরপর আবার যদি কোরআনের তেলাওয়াত করা হয়, তাহলে তো “নুরুন আলা নুর”।

রোজার দ্বারা যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়, আত্মার শুদ্ধি লাভ করা যায়। তেমনী ভাবে তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে বিশেষ সম্পর্ক স্হাপন হয়।

একারণে রোজার মাসের তেলাওয়াতের গুরুত্বটা যেন অনেক বেশী।

আর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতে তো প্রতিটি হরফের বিনিময়ে কমপক্ষে দশ নেকী দান করা হয়। আর রমজানে তেলওয়াত করলে তো তার ছওয়াব ৭০ গুন বৃদ্ধি হয়ে যাবে বলে আশা করা হয়। মানে অফুরন্ত সওয়াবের মালিক বনে যাবেন তেলাওয়াত কারী।

এমনি ভাবে আত্মশুদ্ধির এই মাসে কোরআন তেলাওয়াতে তার অন্তরাত্মা আরো পরিশুদ্ধ হবে। সে আরো অনেক পুত পবিত্র হতে পারবে , কেননা কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে তিনটি ফায়দার কথা উল্লেখ করা হয়,

এক, কোরআন তেলাওয়াতের দ্বারা মনের কালিমা দুর হয়। মনের অশান্তি চলে যায়।

দুই, তেলাওয়াতের দ্বারা আল্লাহর সাথে নিগুড় ভালবাসা স্হাপন হয়। আল্লাহর খালেছ বান্দায় পরিণত হয়।

তিন, তেলাওয়াতের বিনিময়ে প্রতিটি হরফে কমপক্ষে ১০ নেকী তেলাওয়াত কারী পেয়ে থাকে।

তাই ভাই, বন্ধুদের প্রতি বিশেষ আবেদন, আসুন! আমরা কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি মনোনিবেশ করি, মাহে রমজানের এই মোবারক সময় গুলো বেশী বেশী তেলাওয়াত করি।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল কে তাওফিক দান করন। আমিন।

লেখক : শিক্ষক ও বিশ্লেষক

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *