খাশোগি সমস্যা সমাধানে এরদোগানকে সালমানের ফোন

খাশোগি সমস্যা সমাধানে এরদোগানকে সালমানের ফোন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : টনক নড়েছে সৌদি আরবের রাজা সালমান বিন আব্দুল আজিজের। রোববার রাতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের দপ্তরের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

টেলিফোনালাপে জামাল খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য দু’দেশের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনে সম্মত হওয়ায় সৌদি রাজা সালমান তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান। তিনি তুরস্ককে ‘ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, আঙ্কারার সঙ্গে সবক্ষেত্রে সম্পর্ক ও সহযোগিতা শক্তিশালী করতে চায় রিয়াদ।

বাদশাহ সালমানের ফোনে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানও আগ্রহ প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকে জামাল খাশোগি নিখোঁজ রয়েছেন। ওই ঘটনার পর এই প্রথম তুরস্ক ও সৌদি আরবের শীর্ষ নেতারা টেলিফোনে কথা বললেন।

খাশোগির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সৌদি আরবের ওপর যে প্রচণ্ড আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে তা কমানোর জন্যই রাজা সালমান রোববার রাতে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ফোন করেন। বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমগুলো।

তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের কাছে থাকা তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বলেছে, সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর খাশোগিকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় এবং পরে তার লাশ টুকরা টুকরা করে গোপনে ওই কূটনৈতিক মিশন থেকে বাইরে নেয়া হয়।

জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করছে, সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচনাকারীরা দেশের বাইরেও নিরাপদ নন। আন্তর্জাতিক সমাজ জামাল খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে রিয়াদকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছে। বলছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

উল্লেখ্য, খাসোগি নিখোঁজ, কিন্তু তাঁর হত্যার ব্যাপারে নিশ্চিত তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। এরপরও তুরস্ক সরকার সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘটনাটি যৌথভাবে তদন্ত করতে রাজি হয়েছে। সৌদির একটি প্রতিনিধিদল গতকাল তুরস্কে পৌঁছেছে। সপ্তাহজুড়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সৌদি রাজপরিবারের প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রিন্স খালেদ আল-ফয়সাল তুরস্কে এসেছিলেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংকট সমাধানের চেষ্টা করছেন। তাঁর সফরের সময় দুই দেশের যৌথ তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়।

লন্ডন প্রবাসী সৌদি ব্যঙ্গ-রচয়িতা গানেম আদ-দোসারি প্রিন্স ফারহানের বক্তব্য সমর্থন করে বলেন, সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক ও লেখকরা এখন বিদেশ সফরের বিষয়ে ভয় পাচ্ছেন; এমনকি অনেকে তাদের ঘর-বাড়ি ছাড়তে ভয় পাচ্ছেন।

সূত্র : পার্সটুডে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *