পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ধর্ম ও মতাবলম্বীদের মধ্যে নিজেদের গণ্ডিবদ্ধ করে না রেখে মুসলমানদের অন্যান্য সকল ধর্মাবলম্বীদের সাথে মিলে চলার পরামর্শ দিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সেক্রেটারী জেনারেল, আওলাদে রাসুল মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ আস’আদ মাদানী।
তিনি বলেন, দেশের সেকুলার গোষ্ঠি ও সাম্প্রদায়িকতার দোহাই দিয়ে সমাজে বিদ্বেষ-বিশৃংখলার বিষবাষ্পের কারিগর-এই দুই শ্রেনীর আওতামুক্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ নিরীহ আপামর জনগোষ্ঠির আস্থা অর্জনে সকল মুসলমানের এগিয়ে আসা উচিত। সেরেফ মুসলিমপ্রধান অঞ্চল আর মুসলমানদের ভেতরে নিজেদের গন্ডিবদ্ধ করে রাখলে কোন কৌশলগত সাফল্য হাতের মুঠোয় ধরা দেবে না।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) ব্যাঙ্গালুরে জমিয়ত ইয়ুথ ক্লাবের এক পরামর্শ সভায় বক্তব্য দানকালে তিনি এসব বলেন।
মাহমুদ মাদানী বলেন, ভারতে মুসলমানরা দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী; এটা মোটেও হেলাফেলার দৃষ্টিতে দেখবার নয়। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হল, আমাদের দলগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কাজ কেবল মুসলিমপ্রধান অঞ্চলগুলোতেই থমকে আছে। এর বাইরে যে এক বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠী অন্য ধর্মাবলম্বীদের ভেতরে বসবাস করছে সেদিকে কারও নজর নেই। এই মুলমানদের শিক্ষা-দীক্ষা, তাদের ইমান হেফাজতের প্রতি খেয়াল রাখা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
ভারতের জনসংখ্যা পরিসংখ্যানের উপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, দেশে যদি ২০ কোটি মুসলমান আছে ধরা হয়, তবে তার ৩০ পার্সেন্ট বসবাস করছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে। বাদবাকি ৭০ পার্সেন্ট মুসলমান অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এই ৭০ পার্সেন্টের দিকে খেয়াল করার কেউ নেই। তাদের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানো এবং অধিকার রক্ষায় সমতা নিশ্চিত আমাকে আপনাকেই করতে হবে।
আরো পড়ুন : যেখানে যৌতুকের গন্ধ পাবেন, মেয়ে দেবেন না : মাহমুদ মাদানী
জমিয়ত ইয়ুথ ক্লাব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে এসময় আওলাদে রাসুল বলেন, দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুসলমানদের অধিকার আদায় এবং ‘খিদমতে খালক’ এর চেতনায় উজ্জীবিত এক যুব সম্প্রদায় গড়ে তুলতেই জমিয়তের এই ইয়ুথ ক্লাব। দিল্লী, ইউপি, হরিয়ানা, কর্ণাটক, গুজরাত ও তেলেঙ্গানায় এই ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের সব জায়গাতে এর কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়বে বলেও জানান তিনি।
এ পরামর্শ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কর্ণাটক জমিয়তে উলামা হিন্দ সভাপতি মুফতি ইফতেখার কাসেমী, মাওলানা শিব্বির নদভী, তাফহিমুল্লাহ মারুফ, মুফতি শামসুদ্দীন প্রমুখ উলামায়ে কেরাম।
সূত্র : সাহিল অনলাইন
/এএ