জিতেই চলেছে শেখ জামাল ও আবাহনী

জিতেই চলেছে শেখ জামাল ও আবাহনী

ক্রীড়া ডেস্ক : ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটের সুপার লিগ পর্বে জিতেই চলেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেড। টানা তিন ম্যাচ জিতলো আবাহনী। বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬ উইকেটে তারা হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে। আবাহনীর এই পেসার নেন ৫ উইকেট।

এদিকে ইমতিয়াজ হোসেন ও নুরুল হাসানের ফিফটিতে জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তারা ৭ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। টানা তৃতীয় ম্যাচ জিতেছে তারা। শীর্ষ দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ জয়ে ফিরেছে। প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে এদিন জ্বলে ওঠেন তাসকিন আহমেদ। ৪ উইকেট নিয়ে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেন তিনি। তার বোলিংয়ে মাত্র ২০৬ রানের লক্ষ্য পেয়ে ৭ উইকেটে জিতেছে রূপগঞ্জ।

আবাহনী-প্রাইম ব্যাংক : মিরপুরে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটিংয়ে ধস নামায় আবাহনী। অলক কাপালি ও নাঈম হাসানের ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে প্রাইম ব্যাংক, ৪৯.৩ ওভারে ২২৬ রানে অলআউট হয় তারা। এরপর ওয়াসিম জাফর ও নাজমুল হাসান শান্তর হাফসেঞ্চুরিতে ৪৪.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৮ রান করে আবাহনী।

সাইফ ও মাশরাফি মুর্তজার পেসে ৬৬ রানে ৬ উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। নাঈমের সঙ্গে ১০৮ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন কাপালি। তবে সাইফ শেষ দিকে তোপ দাগালে দলীয় স্কোর বড় হয়নি তাদের। ইনিংস সেরা ৮০ রান করেন কাপালি। নাঈম অপরাজিত ছিলেন ৫১ রানে। সাইফ ৯.৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন তিনি। দুটি করে উইকেট পান মাশরাফি ও সৌম্য সরকার।

জবাব দিতে নেমে ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারায় আবাহনী। তবে নাজমুলের সঙ্গে জাফরের ১২২ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে তারা। ৬৪ রান করেন জাফর। আর ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন নাজমুল। তার সঙ্গে ৫১ রানের অপরাজিত জুটিতে দলকে জেতান মোহাম্মদ মিঠুন। ৩৩ রানে খেলছিলেন তিনি। ১৪ ম্যাচে ১১ জয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে প্রাইম ব্যাংক।

রূপগঞ্জ-দোলেশ্বর : সাভারে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ ওভার খেলেছে দোলেশ্বর। সৈকত আলীর হাফসেঞ্চুরির পরও ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। শাহরিয়ার নাফীসের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে সহজ জয় পায় রূপগঞ্জ। ৪৪.২ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৮ রান করে শীর্ষ দলটি। ১৪ ম্যাচে ১২ জয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রূপগঞ্জ। আর ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম দোলেশ্বর।

ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিন ও মোহাম্মদ শহীদের বোলিং তোপে পড়ে দোলেশ্বর। ওপেনার সাইফ হাসানের ৩৭ রানের কার্যকরী ব্যাটিংয়ের পর কেবল সৈকত প্রতিরোধ গড়েন। ইনিংস সেরা ৭২ রান করেন তিনি। এছাড়া তাইবুর রহমান ২৭ ও মাহমুদুল হাসান করেন ২৫ রান। ৯ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তাসকিন। তিনটি পান শহীদ।

লক্ষ্যে নেমে স্কোরবোর্ডে রান না হতেই উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। তবে মেহেদী মারুফের সঙ্গে ১০০ রানের জুটিতে নাফীস ঘুরে দাঁড়ান। মারুফ ৪১ রানে বিদায় নেওয়ার পর আসিফ আহমেদের (১৭) সঙ্গে ৫১ রান যোগ করেন তিনি। তারপর অধিনায়ক নাঈম ইসলামের সঙ্গে ৫৭ রানের অপরাজিত জুটিতে দলকে জেতান নাফীস। ১৪২ বলে ১১ চার ও ১ ছয়ে ১১৩ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন তিনি।

শেখ জামাল-মোহামেডান : তানবির হায়দারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মোহামেডান ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। ৪৪.৪ ওভারে ১৫৯ রানে অলআউট হয় তারা। ইমতিয়াজ ও নুরুলের ফিফটিতে ৩৩.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৩ রান করে শেখ জামাল। ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে শেখ জামাল। আর ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে মোহামেডান।

ফতুল্লায় মোহামেডানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন তুষার ইমরান। এছাড়া লিটন দাস করেন ২৬ রান। ৪.৪ ওভারে শেখ জামালের স্পিনার তানবির ১৬ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। দুটি পান খালেদ আহমেদ।

লক্ষ্যে নেমে ১৩ রানে ২টি উইকেট হারালেও ইমতিয়াজ ও নুরুলের একশ ছাড়ানো জুটিতে সহজ জয় পায় শেখ জামাল। দুজন ক্রিজে থেকে ১২০ রান যোগ করেন। ৫৪ রানে ইমতিয়াজ বিদায় নিলেও ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন নুরুল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *