জেলহত্যা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

জেলহত্যা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং চার জাতীয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার জাতীয় নেতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে তিনি শনিবার সকালে ধানমন্ডী ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ম্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শোকাবহ জেলহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় দিন। জেল হত্যা দিবস আওয়ামী লীগসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল কর্তৃক প্রতি বছর ৩রা নভেম্বর পালিত হয়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের চারজন জাতীয় নেতাঃ সাবেক উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি স্বরণার্থে এ দিবস পালন করা হয়।

সকাল ৭টায় শেখ হাসিনা প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের পরে মহান জাতীয় নেতৃবৃন্দের সম্মানে তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু,তোফায়েল আহমেদ ও এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, এডভোকেট সাহারা খাতুন, ড.আবদুর রাজ্জাক ও আবদুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম ও এনামুল হক শামীম এবং দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এবং দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।

পরে আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।

উল্লেখ্য, জেলহত্যার প্রায় ২৯ বছর পর এর বিচারকার্য শুরু হয়। ২০০৪ সালের ২০শে অক্টোবর বিচারের রায়ে তিনজন পলাতক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড, ১২ জন সেনা কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিএনপির চারজন সিনিয়র নেতাসহ পাঁচজনকে খালাস দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের ২৮শে আগস্ট বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছয়জন সামরিক কর্মকর্তাকে খালাস দেয়। খালাসীদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দীন আহমেদকে ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষ খালাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করে সুপ্রীম কোর্টে আপিল করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *