ট্রাম্পকে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ কামালার!

ট্রাম্পকে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ কামালার!

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনী বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সাম্ভাব্য প্রার্থী কামালা হ্যারিস। তবে, বাইডেনের সঙ্গে দ্বিতীয় বিতর্কে রাজি হলেও কামালার চ্যালেঞ্জে এখনো সাড়া দেননি ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী দৌড় থেকে বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর সেই জায়গায় কামলা হ্যারিস আসায় যেন ডেমোক্র্যাটিক শিবিরে জোয়ার বইতে শুরু করেছে। বদলে যাচ্ছে নির্বাচনী সমীকরণ।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) জর্জিয়া রাজ্যের আটলান্টা শহরে এক নির্বাচনী জনসভায় ট্রাম্পকে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন কামালা হ্যারিস। হ্যারিস বলেন, ‘লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, বিতর্কে আসতে চান না ট্রাম্প।’

তবে তিনি আশা করেন, বিতর্কের মঞ্চে তার মুখোমুখি দাঁড়ানোর কথা ট্রাম্প বিবেচনা করবেন এবং যা বলার সরাসরি বলবেন।

নির্বাচনের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই দল ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান — দুই প্রার্থীর মধ্যে তিন দফা মুখোমুখি বিতর্ক হওয়ার কথা থাকলেও বাইডেনের জায়গায় কামালা হ্যারিস আসায় পরবর্তী বিতর্ক নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। গত ২৭ জুন প্রথম বিতর্কে বাইডেনকে ধরাশায়ী করে দ্বিতীয় বিতর্কে আগ্রহী হয়ে আরও বিতর্কের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন ট্রাম্প। তবে, এবার ৫৯ বছর বয়সি দক্ষ আইনজ্ঞ কামালার বিপরীতে বিতর্কে আসতে রাজি হচ্ছেন না ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়সের ব্যবধান ও ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় জনপ্রিয়তা হ্রাসের শঙ্কায় সাবেক অ্যাটর্নি কামালার মুখোমুখি হতে চান না ট্রাম্প।

এদিকে, সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে জনসমর্থনের দিক থেকে আবারও এগিয়ে গেছেন কামালা হ্যারিস। রয়টার্স/ইপসোসের নতুন এক জরিপে ৪৩ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন হ্যারিস, আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪২ শতাংশ সমর্থন।

নির্বাচনে জো বাইডেনের বদলে হঠাৎ কামালা হ্যারিসের উত্থানে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে রিপাবলিকান শিবির। এক সাংবাদিক সম্মেলনে কামালা কি কৃষ্ণাঙ্গ নাকি ভারতীয় বলে জাতিগত কটাক্ষ করেছেন ট্রাম্প। এ নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। সাবেক প্রেসিডেন্টের এ ধরনের মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে জাতিগত বিভেদ বাড়াবে বলেও হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় বর্ণবাদী মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সূত্র: রয়টার্স

Related Articles