দিল্লীর সিংহাসনের লোভ নেই, আমি জনতার ভরসা চাই : মমতা

দিল্লীর সিংহাসনের লোভ নেই, আমি জনতার ভরসা চাই : মমতা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ভারতের ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে দিল্লীর সরকার পরিবর্তন হলে মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। আমার দিল্লীর সিংহাসনের লোভ নেই, আমি জনতার ভরসা চাই বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি চাই আপনারা মনের জোর নিয়ে কাজ করুন, ভালো করে কাজ করুন। ভয় পেলে কিছু হবে না। দিল্লীর সরকার আমাকেও নানাভাবে উত্যক্ত করে। কিন্তু আমিও ওদের ছাড়িনা।

২৮ নভেম্বর বোধবার পার্সটুডের সূত্রে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়াতে এক সভায় ভাষণ দেয়ার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব কথা বলেন।।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের ভরসা পাওয়াটাই তার কাছে মুখ্য, দিল্লীর গদি নয়। তিনি বলেন, আমি যা করবো বলে কথা দেই, জীবন দিয়ে হলেও সেই কথা রাখি। কিন্তু যারা নির্বাচনের আগে একরকম পরে আরেকরকম কথা বলে আমি তাদের সঙ্গে নেই।

কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিল (৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট) কর্মসূচি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘নোট বাতিলের ফলে ব্যবসা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশে বেকারত্ব বেড়েছে। ছোট ব্যাবসা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। মাঝারি ও বড় ব্যাবসাও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক মানুষ দেশ ছেড়ে চলেও গেছেন।’ তিনি বলেন, ‘মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্য রাজনীতি নয়, মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে জয় করাটাই রাজনীতি।

এদিকে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন যত সামনের দিকে এগিয়ে আসছে ততই ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি নিজের নিজের ভোট ব্যাংক গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তাদের ব্যতিক্রম নয়। তিনিও লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের কাছে ঘুরছেন। এমনকি নির্বাচনে মুসলমানদের ভোট পেতে মসজিদে মসজিদে ঘুরছেন হিন্দুবাদী কট্টরপন্থী এই নেতা।

আবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের মন পেতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। তারা যে মুসলিম বিরোধী নয়, তা বোঝাতে কাজ করে চলছে অবিরাম। সম্প্রতি দলটির একেবারে সর্বোচ্চ স্তরে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দেশটির একটি গণমাধ্যম দাবি করেছে।

ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক পুরোপুরি ‘ছেড়ে রেখে’ যেকোনোভাবে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে না, তা এতদিনে টের পেয়েছেন অমিত শাহরা। তাই আগামী লোকসভা ভোটের আগেই যত বেশি সম্ভব সংখ্যালঘুদের দলে টানার নির্দেশ তারা দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। সংখ্যালঘু নেতা-কর্মীদের ‘রাজনৈতিক ওজন’ যাচাই না-করে যেনতেন প্রকারে তাদের দলে টানাই এখন বিজেপির উদ্দেশ্য। যাতে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের কাছে এই বার্তা পৌঁছায় যে, বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল নয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *