দেশের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনার দাবি

দেশের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনার দাবি

দেশের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনার দাবি

পাথেয় রিপোর্ট : দেশের মসজিদগুলোতে দায়িত্বরত সম্মানিত ইমামদের সরকারি বেতনভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ।

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ‘সহজ’ করতে সব মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সরকারি বেতন কাঠামোর আওতায় আনার প্রস্তাব দেন তিনি।

বুধবার ‘যুব সমাজের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে উগ্রবাদিকরণ ও সহিংস চরমপন্থা রোধ’ শিরোনামে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এ মত তুলে ধরেন।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন মন্তব্য করতে বেনজীর বলেন, ইসলামে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জুমআর খুতবায় কিছু বলেন না।

আমরা দেখি তারা রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। আপনারা (ইমামরা) রাজনীতি করতে চাইলে করেন, কিন্তু মসজিদকে ব্যবহার করবেন না।
র‌্যাবপ্রধান বলেন, অনেক চেষ্টার পরেও সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে সাধারণ বিবৃতি দিতে বাংলাদেশের ইসলামী নেতাদেরকে এক জায়গায় আনা যায়নি।

আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, সব ইমামকে সরকারি চাকরির আওতায় আনা উচিত। তাহলে এটা সহজ হবে। তাহলে আমরা অনেক কিছুই করতে পারব।

জাতীয় বাজেটের আকারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার মনে হয় মসজিদের সংখ্যা ৭ লাখের বেশি হবে না। তাদের বেতন দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশ সরকারের আছে।

ঢাকার লেকশোর হোটেলে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউটের আয়োজনে আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে দেশজুড়ে ব্যাপক জঙ্গি তৎপরতা ২০০৭ সালে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠলে আবার এই তৎপরতা দৃশ্যমান হয়; বেশ কয়েকজন ইসলামী চরমপন্থীদের হাতে খুন হন।

কিন্তু ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় ২০ নিহত হওয়ার পর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসে সরকার।
এরপর জনগণের সহায়তায় জঙ্গিবাদী সব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে দাবি করেন র‌্যাব মহাপরিচালক।

তবে, সন্তুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না হলে শুধু বাংলাদেশ থেকে তা উচ্ছেদ করা খুবই কঠিন।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হয়েছে। কারণ, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থাকে উৎসাহিত করতে ফেইসবুক, টুইটার ও ব্লগে লাখ লাখ বিষয়বস্তু ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে, নিরুৎসাহিত করার জন্য খুবই আছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *