পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ধর্মঘটের নামে পরিবহন শ্রমিকদের নৈরাজ্য সহ্য করা হবে না মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন। তিনি বলেন, সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে তা সহ্য করা হবে না। শক্ত হাতে দমন করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন ও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ২/১ দিনের মধ্যেই সব ধোঁয়াশা কেটে যাবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হবে। আমরা আশা করি, এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। যদি দলটি ২০১৪ সালের মতো অংশ না নেয় তাহলে তারা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।
অস্থিতিশীল পরিস্থিতির আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ নির্বাচন বিঘ্নিত করার মতো কোন কর্মকাণ্ড কেউ করতে পারবে না। বর্তমান সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
২৮ অক্টোবর রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ২০১৭ সালের লভ্যাংশ বাবদ ৪০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে, এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
এদিকে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিবহন শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করা সম্ভব না। শ্রমিকদের পরবর্তী সংসদ অধিবেশন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ন্যায়সঙ্গত বিষয় থাকলে তখন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আইন সংশোধনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এ সময়, মানুষকে কষ্ট না দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহবানও জানান তিনি।
২৮ অক্টোবর রোববার দুপুরে রাজধানীর সেতু ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এরআগে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা মানা সম্ভব নয়, আবারও উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব দাবি মানতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে, যা এখন সম্ভব না। ঐক্যফ্রন্ট যদি দাবির ব্যাপারে অনড় থাকে, তারা যদি স্ট্রাইক করে, তাহলে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা পরিবর্তনসহ ৮ দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর রোববার ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেটসহ দেশের প্রায় সব এলাকায় ধর্মঘট চলছে। গণপরিবহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন শ্রমিকরা। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হয়ে শ্রমিকদের কালির শিকার হয়েছেন অনেকে। রাস্তায় বাস না থাকায় দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষার্থীসহ কর্মজীবী মানুষ।
ধর্মঘটের মধ্যেও ঢাকায় সকাল থেকে সরকারি মালিকানাধীন বিআরটিসি’র সীমিত সংখ্যক বাস চলাচল করছে। এরপরও নগরজুড়ে তীব্র যানজট দেখা গেছে। ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি এবং রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে চলাচলকারী যানবাহন ছিল প্রচুর।