‘ধর্ম গিলিয়ে বিজেপি ভারতকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে’
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ধর্মের নামে ভারতকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংসদ সদস্য ও সর্বভারতীয় যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি মানুষকে ধর্ম গিলাচ্ছে। এমন্ত্র দিয়ে ভারতকে একটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া গ্রামীণ মেলা ময়দানে এক সমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি ওই মন্তব্য করেন।
অভিষেক বলেন, ভারতবর্ষ দু’বার লুট হয়েছে, একবার ইংরেজদের আমলে ১৯৪৭ সালের আগে। আরেকবার ২০১৪ থেকে ২০১৯ অবধি নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে। আগামীদিন এদেরকে ‘ঝেঁটিয়ে ভারত ছাড়া’ করতে হবে। আর যেক’টা ‘আবর্জনা’ বাংলার বুকে পড়ে আছে আগামীদিনের নির্বাচনে মানুষ তার উপযুক্ত জবাব দেবে।
তিনি বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বলেছিলেন, ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।‘ বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক অসুরেরা বলছে ‘তোমরা আমাকে গদি দাও, আমি তোমাদের রক্তস্নাত নদী দেবো।’ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের ৪২টিই দাও (জয়ী করো), আমি তোমাকে আগামীদিন দিল্লির বুকে এক শান্তিপ্রিয়, প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষ দেবো’।”
তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীদিন দেশ পরিচালনা করবেন।’
অভিষেক বলেন, ঠেলায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না। গত দু’মাস আগে পেট্রোলের দাম ছিল ৮৮ টাকা। তিনটি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভোকাট্টা হয়ে গেছে। বিজেপি যত হেরেছে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম কমেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমেছে।
তিনি বলেন, রাজস্থানে ৯২ শতাংশ, ছত্তিসগড়ে ৯৪ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে ৯২ শতাংশ ভোটার হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি এসব জায়গায় পরাজিত হয়েছে।
যারা হিন্দু ধর্মের ধারক আর বাহক বলে নিজেদের দাবি করেছিল সেই হিন্দুরাই বিজেপিকে কুপোকাত করে দিয়েছে বলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন।
সংসদে অল ইণ্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, আসাম আন্দোলনের ৮৫৫ জন বীর শহীদদের কথা স্মরণ রাখতে হবে ভারত সরকারকে। যারা সরকারে আছেন, আসামের নাগরিকদের গুরুত্ব দিন। মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল কাসেমী বলেন, অসাংবিধানিকভাবে এই বিল কার্যক্রর করার অপচেষ্টা করছে সরকার। এই বিল সংসদে গৃহীত হলে আসামে বিজেপি পরিচালিত সরকার তীব্র প্রত্যাহ্বানের সম্মুখীন হবে। আজ আসাম উত্তপ্ত বিল গৃহিত হলেই আরো অধিক উত্তপত হবে। এর দায়ভার কী সরকার নিবে।
এদিকে জানা গেছে, সোমবার উত্তরপ্রদেশের হারদইয়ের শ্রবণ দেবী মন্দিরে একটি সম্মেলনের আয়োজন করে নীতিন আগরওয়াল৷ স্থানীয় গ্রামের বহু মানুষ তাতে যোগ দিয়েছেন৷ তাদের উদ্দেশ্যে নীতিনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, গ্রাম প্রধানদের খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে৷ তাদের কাছ থেকে সকলে যেন সেই প্যাকেট সংগ্রহ করেন৷