পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে এ দেশকে গড়ে তুলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে এ দেশকে গড়ে তুলতে চাই। আওয়ামী লীগ যখনই সময় এবং সুযোগ পাচ্ছে তখনই দেশের মানুষের ভাগ্য বদলে কাজ করছে।
১৫ অক্টোবর সোমবার বিকেলে টিকাটুলির রামকৃষ্ণ মিশন ও লালবাগের ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন প্রধানমন্ত্রী ৩টা ৪০ মিনিটে রামকৃষ্ণ মিশন প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে হাত নাড়িয়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমাদের গর্বের মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্মের মানুষ অংশ নিয়েছেন। সব ধর্মের মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি। সবাই মিলে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে পরিচিত। এদেশে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে বসবাস করেন। সংবিধান অনুসারেই আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি রয়েছে। এদেশের মানুষ পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক, উদার প্রকৃতির ও সহনশীল। অন্য ধর্মকে সম্মান করে।
দেশে আগের চেয়ে পূজার জাকজামকতা বেড়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দিনিদিন মাদের দেশে আগের চেয়ে পূজার জাকজামকতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে প্রতি বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকাসহ সারাদেশে, প্রবাস এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে পূজার শুভেচ্ছা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মীয় উৎসব মানুষের মনের উদারতা বিকশিত করার পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন সুদৃঢ় করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ দীর্ঘকাল ধরে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। কারণ, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা পূজার আয়োজনে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। আমারা চাই সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হোক। এই পূজা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও ভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
টিকাটুলির রামকৃষ্ণ মিশন ও লালবাগের ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ ও আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ায়ী প্রমুখ।