ধর্ষককে ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে বাঁচিয়ে দেবেন না : বদরুদ্দীন আজমল
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : হায়দ্রাবাদে পশু চিকিৎসক ড. প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ধর্ষকদের ফাঁসি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন আসামের জমিয়তে উলামা হিন্দ প্রধান ও ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল।
তিনি প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ধর্ষণ ও হত্যার মর্মান্তিক-লজ্জাজনক ঘটনার উপর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ধর্ষকদের জনসম্মুখে ফাঁসিতে ঝুলানো উচিৎ। সাধারান মানুষের যাতে শাস্তি কথা ভেবে তাদের অন্তর কেঁপে ওঠে, অপরাধের সাথে জড়িত না হয়।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে এসব কথা বলেন ভারতীয় পার্লামেন্টের এই সদস্য।
মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল বলেন, শুধু আইন প্রণয়নে কোন লাভ নেই, যতক্ষণ না তা কার্যকর না হয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যদি প্রকাশ্যে ধর্ষণের আসামিদের ফাঁসি দেয়া শুরু করা হয়, আর এ শাস্তি সবার সামনে চলে আসে, তাহলে ধর্ষণের ঘটনা কমে যাবে।
তিনি বলেন, দেশের পুলিশেরও এব্যাপারে সক্রিয় হতে হবে। যাতে যখন কোন মানুষ আপনাদের কাছে যাবে, আপনাদের সাহায্য চাইবে, তখন এ বিষয়ে কোন অবহেলা করবেন না। অনুরূপভাবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে পুলিশের সজাগদৃষ্টি ও সক্রিয়তা বাড়াতে হবে।
মাওলানা আজমল আরও বলেন, দুঃখের বিষয় হল ধর্ষণের মত এমন ঘৃণিত অপরাধের পরেও কিছু সমাজশত্রু এবং দেশবিরোধী চেতনাধারী লোকেরা অপরাধী গোষ্ঠীরও ধর্ম দেখে। আবার সেই অনুযায়ী বিচার করে। এসব কোনভাবেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, আমাদের কর্তব্য হল অপরাধ ও অপরাধীর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা। অপরাধী যে ধর্মের, যে গোষ্ঠীর হোক, সাজা তাকে পেতেই হবে।
এর আগে এক বয়ানে বদরুদ্দীন আজমল বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখেছি তৃণমূল বা ছোটছোট নেতারা অযোদ্ধা নিয়ে সহিংস বক্তব্য উগ্রে দিত৷ কিন্ত এখন তো দেখছি বিজেপি, আরএসএসের বড় বড় নেতা এবং স্বয়ং মন্ত্রী পরিষদ থেকেও এ ব্যাপারে উস্কানিমূলক বক্তব্য আসছে৷ এদের কেউ কেউ আবার রাষ্ট্রীয় আইন পরিষদ এবং প্রশাসনিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। (তাদের অবশ্যই এসব বিষয় জানার কথা, এসব রাষ্ট্রীয় মামলা ও বিবাদপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কথা বলার একটা নিয়মকানুন আছে, রুলস আছে) তারা সেইসব ভুলে গিয়ে যেভাবে ইচ্ছেমতো বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে, তা খুবই ভীতিকর। তারা নতুন করে অযোদ্ধায় রাম মন্দির নির্মাণের ইতিহাস রচনা করছে।
গ্রন্থনা : আবদুল্লাহ আমান
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির
তথ্যসূত্র : ডেইলি হামারা সামাজ, দিল্লী