‘পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে জামায়াতের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড’

‘পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে জামায়াতের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড’

পাথেয় রিপোর্ট : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জামায়াতের গণহত্যা, ধর্ষণ নতুন প্রজন্ম যেন ভুলে না যায়, সেজন্য তাদের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা ও আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। জাতিসংঘে এ দাবি উপস্থাপন করলে যাতে কেউ বিরোধিতা না করে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূতরা সেই কাজ করছেন। এ দাবি আদায়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার রাতে ঢাকায় আমেরিকান ও পাকিস্তানি দূতাবাস খোলা ছিল। এ রহস্য উদঘাটনের কাজ চলছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী তিনি আফসোস করে বলেন, ২০১৭ সালে জাতিসংঘ যখন আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন দেশের কূটনীতিকরা পঁচিশে মার্চের গণহত্যার প্রেক্ষাপট সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে যারা বিতর্ক তোলেন, তাদের সতর্ক করে দিয়ে মোজাম্মেল বলেন, প্রতিষ্ঠিত সত্যকে যারা ‘বিতর্কিত’ করতে চায় রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ। তারা ৩০ বছর ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধকে পেছনে ঠেলে দিয়েছেন। তারা এখন শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শহীদের সংখ্যাকে বিতর্কিত করতে চায়। তারা কি এখন এক দুই করে শহীদের সংখ্যা গোনেন?

একাত্তরে মুজিবনগর সরকারের বিরোধিতায় খোন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানের ভূমিকা প্রকাশে একটি ‘ট্রুথ কমিশন’ গঠন করা হবে বলে জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, বিসিএসে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর ইতিহাস নিয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, স্কুল পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ বাধ্যতামূলক করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শহীদ বুদ্ধিজীবীর কন্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. নুজহাত চৌধুরী। আলোচক ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) একে মোহাম্মদ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, মেজর (অব.) ওয়াকার মান্নান ও সাবেক সচিব কবি আসাদ মান্নান প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *