নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে মাদারীপুরে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, একই অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুর শহরের দুটি বাসায় তল্লাশি চালিয়ে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস যন্ত্র উদ্ধার করা হয়।
মাদারীপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুমন কুমার দেব বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকেই আমরা এই চক্রটির বিষয়ে জানতে পারি। আমরা তাদের গতিবিধি নজরদারিতে রেখেছিলাম। পরে শুক্রবার সকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হলে তাদের সরবরাহ করা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া যায়। এরপর আমরা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম নিয়ে শহরের পাঠককান্দি এলাকার দুটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ১৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করি। একই সঙ্গে তাদের সঙ্গে থাকা বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি উদ্ধার করি। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরার চেষ্টা করা হবে বলেও পুলিশ সুপার জানান।
অন্যদিকে, একই অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে বরগুনা জেলা পুলিশ। শুক্রবার বেলা ১টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।
বিজয় বসাক জানান, তিন দিন ধরেই বরগুনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের এই সদস্যদের গ্রেফতার করেন তারা।
এ সময় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা, পরীক্ষার হলে উত্তর সরবরাহের জন্যে আধুনিক প্রযুক্তির সাতটি ডিভাইস (যন্ত্র) ও পাঁচটি অত্যন্ত ছোট হিয়ারিং ডিভাইস (শোনার খুব ছোট যন্ত্র), ২৩টি মোবাইল ও ছয়টি প্রবেশপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান এখনো চলমান রয়েছে বলেও জানান বিজয় বসাক।
জেলা পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, এ চক্রের মূল হোতা হুমায়ূন কবীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) থেকে পাস করেন। এরপর প্রথমে অগ্রণী ব্যাংকে ও পরে সাধারণ বীমা করপোরেশনে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৫ নাম্বার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের গাজীপুরা গ্রামে।