ফিলিস্তিনপন্থী স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কাছে লেবার পার্টি প্রার্থীর পরাজয়

ফিলিস্তিনপন্থী স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কাছে লেবার পার্টি প্রার্থীর পরাজয়

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ফিলিস্তিনপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী আইয়ুব খানের কাছে হেরে গেলেন লেবার পার্টির দীর্ঘদিনের সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ। মাত্র ৫০৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন তিনি। ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির ভূমিধস জয় হলেও ফিলিস্তিনপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হলেন দলটির দীর্ঘদিনের ওই নেতা। অনলাইন মিডিলইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩০৩ ভোট।

তিনি ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। পক্ষান্তরে লেবার পার্টির খালিদ মাহমুদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৯৬ ভোট। তার প্রাপ্ত ভোটের পরিসংখ্যান ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ। খালিদ ২০০১ সাল থেকে দেশটির পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে টানা নির্বাচিত হয়ে আসছেন। গত দুই যুগ পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হলেন লেবার পার্টির অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ।

জয়ের পরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আইয়ুব খান। বিজয়ী ঘোষণার পরপরই এক বক্তৃতায় খান বলেন, আমি জানি যে একজন স্বতন্ত্রের পক্ষে বিজয়ী হওয়া খুব কঠিন হয়।

কারণ আমি যার বিপক্ষে জয়ী হয়েছি তার বিরুদ্ধে জয় পাওয়া সহজ ছিল না এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে প্রচলিত নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা সব সময়ই একটি কঠিন কাজ। তিনি আরও বলেন, তবে আমার দৃষ্টিতে কয়েকটি সাধারণ বিষয় আমার বিজয়ে ভূমিকা পালন করেছে। এ ক্ষেত্রে তিনি আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার, ন্যায্যতা এবং সমতার ওপর ইঙ্গিত করেছেন। খান তার বক্তৃতার পর ফিলিস্তিনের পতাকা উঁচিয়ে ধরেন এবং গাজার নির্যাতিত জনতার পক্ষে তার বিজয়কে উৎসর্গ করেন।

খান স্থানীয়ভাবে একজন আইনজীবী। তিনি গত মে মাসে লিবারেল দল থেকে পদত্যাগ করেন এবং স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে খান ফিলিস্তিন ইস্যুকে সামনে আনেন। পরবর্তীতে তার নির্বাচনী প্রচারণায় ফিলিস্তিন ইস্যুকেই কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি বলেছেন তার সাবেক দল তাকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে কাজ করতে বাধা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি তার দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। খান ব্রিটেনের চলমান জীবনযাত্রার ব্যয়, অপরাধ এবং বেকারত্ব, সেই সাথে গাজায় ইসরাইলের চলমান যুদ্ধ ইস্যুর ওপর প্রচারণা চালিয়েছেন। এতে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার বৃহৎ মুসলিম ভোটারদের উল্লেখযোগ্য সমর্থন পেয়েছেন।

বেশ কয়েক মাস যাবৎ গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ব্রিটেনের সাধারণ জনতা বিক্ষোভ জানিয়ে আসছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠী গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে বেশ জোরালো অবস্থান প্রকাশ করেছেন। কিন্তু গাজা ইস্যুতে লেবার পার্টির অবস্থান দলটির বিরুদ্ধে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ফুঁসিয়ে তুলেছে।

Related Articles