ফিলিস্তিনের ৫০ শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেবে আইআইইউসি

ফিলিস্তিনের ৫০ শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেবে আইআইইউসি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ালেখার জন্য ৫০ জন ফিলিস্তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)।

বিনা বেতনে পড়ালেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমন উদ্যোগের কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গতিশীলতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে চট্টগ্রাম ১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূতের অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

গত ২৪ এপ্রিল আইআইইউসির ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সভায় ৫০ জন ফিলিস্তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ প্রদানের মাধ্যমে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। পরে ৩ মে আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর সভাপতিত্বে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ১১তম সভা হয়। ওই সভায় ট্রাস্টের সদস্যদের উপস্থিতিতে অর্ধশত ফিলিস্তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীকে আইআইইউসিতে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ দিয়ে স্কলারশিপ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

নির্যাতিত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে; সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এই ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। সব শিক্ষার্থীকে শতভাগ স্কলারশিপ প্রদানের মাধ্যমে আবাসন সুবিধাসহ বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে।

এ ছাড়াও ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (আইআইইউসি) ‘এনভিশনিং দ্য ফিউচার : টিচিং ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার’ বিষয়ে দুই দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সও হয়েছে। এতে বক্তারা বলেছিলেন, মানবসভ্যতার উন্নতির জন্য নতুন চিন্তার উন্মেষ ঘটাতে হবে। এই উন্মেষ ঘটবে ভাষা ও সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভাষা ও সাহিত্য চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে ভাষা শিক্ষা ও সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনের আলোকে আইআইইউসি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তারা।

এসময় ভারতের আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. সানাউল্লাহ আল-নদভী কি-নোট বক্তব্যে বলেছিলেন, মানবসভ্যতা ভাষা আর সাহিত্যকে পুঁজি করে ইতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ভাষা আর সাহিত্যে ক্লাসিক্যাল, মডার্ন, পোস্ট মডার্ন, ওরিয়েন্টাল, ইসলামিক এবং ইউরোপীয় প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। সমস্ত প্রভাব মানবজাতির সার্বিক কল্যাণকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। এই কনফারেন্সে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক গবেষক তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণারসহ নানা উদ্যোগে কাজ চলছে।

Related Articles