ক্রীড়া ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হলেও রাশিয়ার ভাবমূর্তি কখনোই পরিচ্ছন্ন ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে রুশ ক্রীড়াঙ্গন বারবার আলোচনায় এসেছে মূলত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ডোপ কেলেঙ্কারির মতো নেতিবাচক কারণে।
সবমিলিয়ে রাশিয়াকে ঠিক পর্যটনবান্ধব দেশ বলা যাবে না। তবে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে নতুন এক রাশিয়াকে দেখবে বিশ্ব। বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ ঘিরে জেগে উঠেছে রাশিয়া, সেজেছে নতুন সাজে। আগামী ১৪ জুন পর্দা উঠবে ২০১৮ বিশ্বকাপের।
অংশগ্রহণকারী দলগুলো একে একে আসতে শুরু করেছে আয়োজক দেশে। ইরানের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে রাশিয়ায় পৌঁছেছে স্পেন ও পানামা। বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো হবে রাশিয়ার ১১টি শহরের ১২টি ভেন্যুতে। ভেন্যু শহরগুলোয় এরই মধ্যে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। এর বাইরে যেসব শহরে বড় দলগুলো বেস ক্যাম্প করবে, সেখানেও লেগেছে বিশ্বকাপের রং।
স্পেন যেমন ঘাঁটি গেড়েছে ক্রাসনোদারে। গত পরশু রাতে শহরটিতে পা রেখেই রুশ সমর্থকদের কাছে থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন ইনিয়েস্তা, রামোসরা। আর ঝাঁ চকচকে ভেন্যু শহরগুলো তো বিশ্বকাপ জ্বরে রীতিমতো কাঁপছে।
রাশিয়ার প্রতিটি মানুষ চেষ্টা করছে অবিস্মরণীয় একটি বিশ্বকাপ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের দেশ নিয়ে বাকি বিশ্বের ভ্রান্তি দূর করতে। পশ্চিমাদের নানা অপপ্রচার ও কঠিন সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে আয়োজকদের।
বিশ্বকাপ দেখতে ১০ লাখেরও বেশি বিদেশি দর্শক রাশিয়ায় আসবে। নিখুঁত আয়োজনে তাদের মন জিতে নেয়াই স্বাগতিকদের মূল লক্ষ্য। বিশ্বকাপ ঘিরে পর্যটন খাত চাঙা করতে শুধু অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারে ১৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে রুশ সরকার।
যার মূল উদ্দেশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন স্থানীয় আয়োজক কমিটির প্রধান অ্যালেক্সি সরোকিন, ‘অবিস্মরণীয় এক বিশ্বকাপে বর্ণিল এক রাশিয়াকে দেখবে বিশ্ব, যে রাশিয়া সবার জন্য উন্মুক্ত।’
___________
patheo24/105