ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভারতের ৪ নাগরিক গ্রেপ্তার, পিস্তল-গুলি-ওয়াকিটকি উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভারতের ৪ নাগরিক গ্রেপ্তার, পিস্তল-গুলি-ওয়াকিটকি উদ্ধার

পাথেয় রিপোর্ট : গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা থেকে পুলিশের হাতে দুই বাংলাদেশিসহ ভারতের চার নাগরিক গ্রেপ্তার। তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, পাইপগান, গুলি, ওয়াকিটকি ও পেট্রোল উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার কুটি বাজারের ‘মা প্লাজা’র ‘আলিফ হোটেলে’র ওপরে তিনতলার কক্ষে একসঙ্গে এ ছয়জন অবস্থান করছিলেন। শনিবার দুপুরে কুটি বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিশালঘরের নেতাজি নগরের শ্যামল দেবনাথের ছেলে স্বর্ণজিৎ দেবনাথ (২৩), উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগরের রতি রঞ্জন চৌধুরীর ছেলে নির্মলেন্দু চৌধুরী (৩২) বাদারঘাটের সুনীল সরকারের ছেলে শংকর সরকার (৩১) ও আমতলীর রাজনগরের অবনী দাসের ছেলে বিমল দাস (৩৩) এবং বাংলাদেশের কসবা উপজেলার মান্দারপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে হাসিবুল হাসান অনিক(১৯) ও আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামের আহমদ হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন শাওন (২২)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি গুলি, দুটি পাইপগান, দুটি কার্তুজ, দুটি ওয়াকিটকি, পাঁচ লিটার পেট্রোল, চার্জার, বুট জুতা, রেইনকোট ও হ্যান্ড গ্লাভসসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবার বাণিজ্যিক এলাকা কুটি বাজারের ‘মা প্লাজা’র ‘আলিফ হোটেলে’র তৃতীয় তলায় কয়েকজন ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছেন— এমন তথ্য পায় পুলিশ। পরে বেলা ১১টায় ভবনটিতে অভিযান চালায় তারা। কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল করিমের নেতৃত্বে ভনটির ভেতর ঢোকে পুলিশ। একপর্যায়ে ভবনের ভেতরে অবস্থানকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার উদ্দেশ্যে পিস্তল বের করতে চাইলে পুলিশ তা প্রতিহত করে। পরে ভবনটির তৃতীয় তলার সব কক্ষে অভিযান চালালে কক্ষে অবস্থানকারীরা আত্মসমর্পণ করে।

অভিযান পরিচালনাকারী কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল করিম জানান, গত কয়েকদিন ধরে কুটি বাজারের ‘মা প্লাজা’র ‘আলিফ হোটেলে’র ওপরে তিনতলার কক্ষে একসঙ্গে ছয়জন অবস্থান করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় ওই কক্ষে অবস্থাকারীদের মধ্যে অস্ত্রসহ ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন। পরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।

সহকারী পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় কসবা থানার উপপরদির্শক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা থানাহাজতে রয়েছেন। কাল সকালে তাঁদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হবে।

আবদুল করিম জানান, ভবনের মালিক দেশে থাকেন না। যাঁরা দেখাশোনা করছেন, তাঁদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *